কাজের লোককেও ছাড়েনি রামপুরহাটের সেই ধর্ষক শিক্ষক, এবার বাড়িতে মিলল সে*ক্স টয়

Rampurhat

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রায় ২০ দিন পর মেলে হদিস! গতকাল বীরভূমের রামপুরহাটে (Rampurhat) নিখোঁজ সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর পাঁচ টুকরো করা বস্তাবন্দি দেহ মেলে জঙ্গল থেকে! ইতিমধ্যেই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার পরে দেহ লোপাট করার চেষ্টায় গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাইভেট টিউটরকে। আর তাতেই উঠে এসেছে একের পর এক ভয়াবহ তথ্য৷

জঙ্গল থেকে উদ্ধার দেহ!

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রামপুরহাট এলাকায় গত ২৮ আগস্ট থেকে বছর ১৩-এর সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী প্রাইভেট টিউশন পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল। এরপর রামপুরহাট থানায় ছাত্রীর পরিবারের তরফে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করা হলে শুরু হয় খোঁজ। কিন্তু কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। শেষে গতকাল অর্থাৎ বুধবার, সকালে রামপুরহাট থানার বনহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের কুল্লাকাটা গ্রামের জঙ্গল থেকে ওই বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। বেশ কয়েক দিন আগেই ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছিল, ফলে দেহে ইতিমধ্যেই পচন ধরেছে। এরপরেই প্রাইভেট টিউটর মনোজ কুমার পালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি রামপুরহাট শ্যামপাহারি শ্রী রামকৃষ্ণ বিদ্যাপীঠের শিক্ষক।

অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে তদন্ত পুলিশের

মৃতার পরিবারের দাবি, অভিযুক্ত ওই প্রাইভেট শিক্ষক মনোজ কুমার পাল দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীকে বিরক্ত করছিলেন। তার উপর নাকি ওই শিক্ষকের ‘কুনজর’ ছিল বলে অভিযোগ। আর সেই কারণে ধর্ষণ করে বীরভূমের রামপুরহাটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে। প্রমাণ লোপাটের জন্য ছাত্রীকে খুন করে দেহ পাঁচ টুকরো করে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় জঙ্গলে, আর সেই দেহই পরে খুঁজে পায় পুলিশ। আর এদিকে ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে রামপুরহাট থানার পুলিশের হাতে উঠে এসেছে কিছু ভয়ংকর বিস্ফোরক তথ্য। নিউজ ১৮ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, অভিযুক্ত শিক্ষকের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালানোর পর উদ্ধার হয়েছে সেক্স টয় , সেক্স ভাইব্রেটর, বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কনডম৷ ইতিমধ্যেই ওই বাড়িটি সিজ করে দিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: SIR-র আগে বাংলার ২২ লক্ষ পরিযায়ীদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কমিশনের! ডিএমদের দেওয়া হল গুরুদায়িত্ব

অন্যদিকে পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, প্রাইভেট শিক্ষক মনোজ কুমার পাল নাকি বিবাহিত। কিন্তু ছয় বছর আগে স্ত্রীর সাথে নাকি তাঁর ডিভোর্স হয়ে যায়৷ শুধু তাই নয় এই শিক্ষক নাকি বিবাহিত জীবনেই বিভিন্ন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ত৷ সেই কারণে স্ত্রীর সাথে বনিবনা হত না৷ আর তাতেই ডিভোর্স। এছাড়াও যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সেখানেও নাকি মনোজ কুমার পাল বাড়ির কাজের মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়ে৷ যা নিয়ে এর আগে তীব্র সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। তবে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। কারণ দুটি বস্তা উদ্ধার হলেও এখনও পর্যন্ত ছাত্রীটির দেহের নীচের অংশ পাওয়া যায়নি৷ সে ক্ষেত্রে এই ঘটনায় অন্য কারোর যোগ রয়েছে কিনা তা তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Leave a Comment