প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের মর্মান্তিক মৃত্যু এক বুথ লেভেল অফিসারের! SIR এর কাজ সেরে ভয়ংকর পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল অরবিন্দ মিশ্র নামে এক বিএলও’র (BLO Died In Road Accident) ৷ জানা গিয়েছে গতকাল ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কাজ সেরে বাইকে করে স্কুল যাওয়ার পথে পিছন থেকে একটি দ্রুত গতির ট্রাক পিষে দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে ৷
ঘটনাটি কী?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ সোমবার, পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ে এক বুথ লেভেল অফিসারের সঙ্গে ঘটে যায় ভয়ঙ্কর মর্মান্তিক ঘটনা। পেশায় শিক্ষক অরবিন্দ মিশ্র নামে ৩২ বছরের এক BLO অফিসার এদিন সকাল থেকে ভোটারের বাড়ি থেকে ফর্ম নিয়ে এসে ডিজিটাইজেশনের কাজ করছিলেন। তিনি ছিলেন নারায়ণগড় বিধানসভার সাইকা ৪৯ নম্বর বুথের BLO। ডিজিটাইজেশনের কাজ সেরে নিজের বাইকে করে যখন সে তাঁর কর্মক্ষেত্র বেলদা জানকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন সেই সময় ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের বাখরাবাদ কলোনির কাছে একটি খালি ডাম্পার পিছন থেকে ধাক্কা মারে। সঙ্গে সঙ্গে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন ওই BLO। চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয় এলাকা জুড়ে।
শোকাহত গোটা পরিবার
রাস্তায় BLO অরবিন্দ মিশ্রকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে আশেপাশের স্থানীয়রা এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ উদ্ধার করে তাঁকে অ্যাম্বুল্যান্সে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। কিন্তু সেখানে চিকিৎসা চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে BLO-র মৃত্যুর খবর পেয়েই হাসপাতালে ভিড় জমায় শাসকদলের নেতা কর্মীরা। এদিকে অরবিন্দ মিশ্রর মৃত্যু ঘটনায় শোকাহত গোটা পরিবার। জানা গিয়েছে তাঁর এক তিন বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। মৃতের দাদা এদিন ভাইয়ের চিকিৎসায় গাফিলতির কথাও তুলে ধরেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বিয়ের মরসুমে সোনার দামে বিরাট লাফ, রুপো কী বলছে? দেখুন রেট
মৃতের দাদা অর্ণব মিশ্র বলেন, “ রোগী মারাত্মক অসুস্থ জেনেও সহজে তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়নি, ভাইয়ের রীতিমত শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল৷ শুধু তাই নয় অর্থোপেডিকের কাছেও নিয়ে যাওয়ার পর ওই অবস্থায় এক্স-রে করার লাইনে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। অক্সিজেনটা তাড়াতাড়ি দিলে হয়ত বেঁচে যেত৷ কারণ তাঁর শরীরে আঘাত খুব বেশি ছিল না৷” এই ঘটনায় গভীরভাবে শোকাহত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষক সংগঠন। সেখানকার সহ সভাপতি সরোজ দাস বলেন, “ স্কুলের ফাইনাল পরীক্ষার জন্য শিক্ষকদের উপর বিশেষ চাপ রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি SIR-এর কাজ শেষ করে স্কুল যাচ্ছিলেন পড়াতে। আর তাতেই এই ভয়ংকর ঘটনা। তবে শাসকদলের তরফে কোনো খবর পাওয়া যায়নি।