কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যাবে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার, দীর্ঘ ৩৯ বছর পর খুলল দার্জিলিংয়ের পুরনো পথ

kanchenjunga Darjeeling Ragarang Trekking Route

সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ পাহাড়প্রেমীদের জন্য রইল দারুণ সুখবর। আপনিও যদি সম্প্রতি দার্জিলিং ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে থাকেন তাহলে আপনার আনন্দ আরও দ্বিগুণ হয়ে যাবে। এমনিতে পাহাড়ের নাম শুনলেই সবার আগে মাথায় আসে দার্জিলিং কিংবা সিকিমের। পাহাড়প্রেমী অথচ এই দুই জায়গায় যাননি তা তো হতেই পারে না। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী পাহাড়প্রেমীদের কাছে এই দুই জায়গার মাহাত্মই আলাদা। তবে দাঁড়ান, এখানেই শেষ নয়, জানলে খুশি হবেন, দীর্ঘ বহু বছর পর দার্জিলিং-এর আরও একটি রাস্তা পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বিশেষ করে অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য খুলে দিল প্রশাসন। তাও কিনা ট্রেকিং-এর রাস্তা। নিশ্চয়ই ভাবছেন কোন রাস্তা? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।

দীর্ঘ ৩৯ বছর পর খুলে গেল দার্জিলিং-এর এই রুট

আজ আপনাদের যে রাস্তা সম্পর্কে তথ্য দেব, বলা হয় সেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা একদম ক্রিস্টাল ক্লিয়ার দেখা যায়। মনে হবে হাত বাড়ালেই যেন ধরা যাবে শতাব্দীপ্রাচীন এই পাহাড়কে। আজ কথা হচ্ছে রাগেরাং নিয়ে। দীর্ঘ ৩৯ বছর পর এই রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়েছে সকলের জন্য। দার্জিলিং চৌরাস্তা থেকে এই রাস্তার দূরত্ব হাতেগুনে মাত্র ১২ কিলোমিটার। অথচ অনেকেই আছেন যারা এই জায়গা সম্পর্কে শোনেননি বা খোঁজ রাখেননি। কিংবা অনেকেই রয়েছেন যারা এই রাস্তা খোলার অপেক্ষা করছিলেন।

আরও পড়ুনঃ দার্জিলিংয়ের কোনও গাড়ি শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে যেতে পারবে না পর্যটক!

প্রতি ডিসেম্বরের মতো এ বছরেও জমে উঠেছিল মেলো টি ফেস্টিভ্যাল। বছরের পর বছর ধরে হয়ে আসা এই অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যে, পর্যটন ব্যবসার আরও মান উন্নয়ন করা। টানা ৪ দিন ধরে চলে এই বিশেষ ফেস্টিভ্যালটি। দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক এই বিশেষ অনুষ্ঠানতি দেখতে দার্জিলিং-এর মতো পার্বত্য অঞ্চলে পাড়ি জমান। সকলের মনোরঞ্জনের জন্য অনুষ্ঠানে থাকে নাচ গান, নানা অনুষ্ঠান, বিভিন্ন ট্রেকিং রুট, রাস্তা সম্পর্কে তথ্য। আর এই অনুষ্ঠানেই ঘোষণা করা হয়, দীর্ঘ ৩৯ বছর পর খুলে দেওয়া হল দার্জিলিং-রাগেরাং ট্রেকিং রুট (Darjeeling Ragarang Trekking Route)।

কেন এত বছর বন্ধ ছিল রুটটি?

এই ট্রেকিং রুটটি খুবই সুন্দর। দার্জিলিং থেকে রাগেরাং ট্রেকিং রুটে আপনি আপনার দুই পাশে পাবেন শুধু চায়ের বাগান। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এত বছর ধরে ট্রেকিং রুটটি কেন বন্ধ ছিল? সূত্রের খবর, আজ থেকে ঠিক ৩৯ বছর আগে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষণের কাজে এই রুটটি ব্যবহার হত। এরপর ১৯৮৬ সালে গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের সময়ে এই জনপ্রিয় রুটটি আচমকাই নাকি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাইহোক, এই রুটটি পুনরায় খুলে যাওয়ার জন্য সেখানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন ট্রেকিঙ্ঘ প্রেমীরা।

Leave a Comment