কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা খারিজ! পাল্টা সব্যসাচী দত্তকে জরিমানা হাইকোর্টের

Kartik Maharaj

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: কার্তিক মহারাজের (Kartik Maharaj) বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত! কিন্তু সেই মামলা এবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বর্তমানে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা আশ্রমের দায়িত্বে রয়েছেন কার্তিক মহারাজ। পেয়েছেন পদ্মশ্রী সম্মানও। কিন্তু বিভিন্ন সময় রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যায় তাঁকে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে। এবার সেই মামলার বিরুদ্ধে কড়া মন্তব্য করল আদালত।

কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা

রিপোর্ট অনুযায়ী, দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজ। যা নিয়ে রাজনৈতিক শিবিরে এক তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছিল। শাসকদলে দলনেত্রীকে এইভাবে অপমান করায় তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত কলকাতা হাইকোর্টে মানহানির মামলা দায়ের করেন কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে। অভিযোগ হিসেবে জানানো হয় যে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়েছিল, তারই প্রতিবাদে এই মামলা। তবে এবার ওই মামলা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠলে তা খারিজ করে দেয় বিচারকেরা।

মামলা খারিজ হাইকোর্টের

বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ও বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তার ডিভিশন বেঞ্চে ভারত সেবাশ্রম সংঘের সন্ন্যাসী কার্তিক মহারাজের বিরুদ্ধে করা মানহানিকর মামলা উঠলে বিচারপতি জানায়, মামলাটি একেবারেই ভিত্তিহীন এবং আদালতের সময় নষ্ট। তাঁদের যুক্তি, কার্তিক মহারাজ একজন সন্ন্যাসী ও জনসেবায় যুক্ত ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য রাজনৈতিক হতে পারে, কিন্তু তা সরাসরি মানহানির পর্যায়ে পড়ে না। তাই এমন মামলার কোনও ‘মেরিট’ নেই বলেই মত বিচারপতিদের। যেহেতু এই মামলা আদালতের সময় নষ্ট করছে তাই জরিমানা বাবদ মামলাকারী সব্যসাচী দত্তকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের এই নির্দেশ শাসকদলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে আহত অভয়ায় মা, নয়া নির্দেশ পুলিশি তদন্তে অসন্তুষ্ট হাইকোর্টের

এদিকে কার্তিক মহারাজ-এর বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা খারিজের পর তৃণমূলকে সরাসরি আক্রমণ করল গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, “সত্য প্রতিষ্ঠা পায়। ভারতীয় বিচারব্যবস্থা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসীকে কালিমালিপ্ত করা চেষ্টা করেছিলেন।” তবে হাইকোর্টের নির্দেশ নিয়ে তৃণমূলের তরফে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Leave a Comment