প্রীতি পোদ্দার, কালনা: হাতে বাকি আর মাত্র কয়েকটা মাস, তারপরেই শুরু হতে চলেছে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচন। তাই দ্রুত সম্ভব পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর বা ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রথম থেকেই নারাজ তৃণমূল, উল্টো দিকে রাজ্য জুড়ে অনুপ্রবেশকারীদের তাড়াতে সরব বিজেপি। এরই মাঝে SIR প্রক্রিয়ায় ‘কারচুপির’ অভিযোগও উঠেছে। এই সব বিতর্কের মাঝেই এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ আনল বিজেপি। এবার অভিযোগ, এক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নাকি কালনার (Kalna) তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। শোরগোল শুরু গোটা এলাকায়।
বাংলাদেশী হয়ে কালনার পঞ্চায়েত প্রধান!
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশী হয়ে ভুয়ো পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভারতে বসবাস করার অভিযোগ উঠে এল বর্ধমানের কালনা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডলের বিরুদ্ধে। তিনি নাকি ২০২০ সালে বাংলাদেশ থেকে এসে কালনার মুক্তারপুর গ্রামের ৮৭ নম্বর বুথে এক দম্পতিকে মা-বাবা হিসাবে দেখিয়ে এখানকার পরিচয়পত্র তৈরি করেছিলেন। পাঁচ বছর ধরে ভারতে রয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডলের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বনমালী মণ্ডল চারজন বাংলাদেশি নাগরিকের নামে এনামুরেশন ফর্ম নিয়েছেন। তবে প্রধানের পাল্টা যুক্তি, যাঁদের নামে এনুমারেশন ফর্ম তোলা হয়েছে, তাঁরা নাকি আত্মীয়।
অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি প্রধানের
গোটা বিতর্কের আবহে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডলের পরিবারের বাবা মা, দাদু ঠাকুমা কোনও ব্যক্তি ভারতের নাগরিক নন। এমনকী তাঁর জাতিগত শংসাপত্র ও জন্মশংসাপত্রও অবৈধ বলে অভিযোগ বিজেপির। এই নিয়ে তাই পঞ্চায়েত প্রধান এবং তার স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তাঁদের বক্তব্য, যাঁরা তাঁদের বাংলাদেশি বলে দাগিয়ে দিচ্ছেন তাঁরা প্রমাণ করে দেখান যে তাঁদের শংসাপত্র ভুয়ো।
আরও পড়ুন: সব থাকবে সুরক্ষিত, UIDAI-র সাহায্যে এবার আধার ভল্ট চালু করছে সরকার
কালনার পঞ্চায়েত প্রধান শ্রাবন্তী মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে যখন সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তখন শ্রাবন্তী দেবী জানাচ্ছেন, “প্রমাণ করুক আমার সমস্ত নথি যে ভুয়ো। তারপর আমিও না হয় প্রমাণ করব।” এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি স্মৃতি কণা বসু জানিয়েছেন, “ বাংলাদেশী হয়ে উনি কীভাবে প্রধান হলেন? SC সার্টিফিকেট কীভাবে পেলেন?” যদিও কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, “শ্রাবন্তীদের কাছে বৈধ নথি আছে বলেই ভোটে লড়তে পেরেছে। বিজেপির অভিযোগ সঠিক নয়।”