কালো টাকা রাখলেও শাস্তি, জরিমানা মুকুব! এদের জন্য আইন বদলাল সরকার

black money india

হেলি মিত্র, কলকাতাঃ বিরাট সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার। কালো টাকা (Black Money) থাকলেও আর কারোর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ বা মামলা করা যাবে না। সরকার এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৫ সালের কালো টাকা আইন সংশোধন করেছে। এর অধীনে, এখন যদি কোনও ভারতীয় করদাতা ভুল করে আয়কর বিভাগকে তার ২০ লক্ষ টাকার কম মূল্যের বিদেশী অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য না দেন, তাহলে তার উপর কোনও জরিমানা বা মামলা করা হবে না।

কালো টাকা রাখা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত সরকারের

জানা গিয়েছে, এই পরিবর্তনটি ১ অক্টোবর, ২০২৪ থেকে কার্যকর হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হল ক্ষুদ্র করদাতাদের অপ্রয়োজনীয় আইনি ঝামেলা থেকে বাঁচানো এবং শুধুমাত্র তাদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা যারা বৃহৎ পরিসরে কালো টাকা লুকিয়ে রাখেন। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ড (CBDT) ১৮ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে একটি অভ্যন্তরীণ সার্কুলার জারি করে স্পষ্ট করে বলেছে যে, যদি কোনও ব্যক্তির বিদেশী অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ২০ লক্ষ টাকার কম হয় এবং তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তা গোপন না করেন, তাহলে ধারা ৪৯/৫০ এর অধীনে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না।

তবে, ধারা ৪২/৪৩ এর অধীনে ইতিমধ্যেই জরিমানা আরোপ করা হয়েছে বা আরোপ করা যেতে পারে এমন ক্ষেত্রে এই ছাড় পাওয়া যাবে না। আগে, যদি কোনও ব্যক্তির বিদেশে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা বিনিয়োগ থাকে, এমনকি যদি তার মূল্য মাত্র ১-২ লক্ষ টাকা হয় এবং তিনি আয়কর রিটার্নে তা প্রকাশ না করেন, তাহলে তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হতে পারে এবং ফৌজদারি ব্যবস্থার মুখোমুখিও হতে হতে পারে। এই পরিস্থিতি অনেক ছোট করদাতার জন্য, বিশেষ করে যারা অজান্তেই ভুল করে ফেলেন, তাদের জন্য একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

আরও পড়ুনঃ ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ থেকে বিদায় নিচ্ছে ‘সূর্য’ দিব্যজ্যোতি, শুরু হচ্ছে নতুন যুগ

কারা এই ছাড় পাবেন না?

  • ১) যদি ১ অক্টোবর ২০২৪ সালের আগে আপনার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়ে থাকে।
  • ২) যদি আপনার বিদেশী সম্পত্তির মূল্য ২০ লক্ষ টাকার বেশি হয়।
  • ৩) যদি সেই সম্পত্তি স্থাবর সম্পত্তি হয় (যেমন বিদেশে বাড়ি বা জমি)।
  • ৪) যদি বিভাগ মনে করে যে আপনি ইচ্ছাকৃতভাবে সম্পত্তিটি গোপন করেছেন।

আয়কর বিভাগ স্বীকার করেছে যে ছোটখাটো ভুলের উপর মামলা দায়ের করা বিভাগীয় সম্পদের অপচয় এবং এর ফলে প্রকৃত অপরাধীরা পালিয়ে যেতে পারে। অনেকেই অসাবধানতাবশত তাদের সম্পদের তথ্য দিতে ভুলে যান, যদিও তাদের উদ্দেশ্য জালিয়াতি নয়। অতএব, এখন বিভাগের মনোযোগ কেবল তাদের উপর থাকবে যারা ইচ্ছাকৃতভাবে বৃহৎ পরিসরে কালো টাকা লুকিয়ে রাখেন, যাদের সম্পদ কোটি কোটি টাকা এবং যারা সিস্টেমের অপব্যবহার করেন।

Leave a Comment