বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: আগের ম্যাচ BSS এর বিরুদ্ধে 5-2 গোলে জিতে বুক পিটিয়েছিল মোহনবাগান (Mohun Bagan CFL)। তবে বুধবার কলকাতা কাস্টমসের মুখোমুখি হতেই বদলে গেল গোটা চিত্র। জয়ের সরণিতে ফিরেও প্রতিপক্ষ কাস্টমসের কাছে হারতে হল সবুজ মেরুন ব্রিগেডকে। আর তাতেই কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে ওঠার রাস্তা নিজেরাই কার্যত বন্ধ করে ফেলল মোহনবাগান।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের ম্যাচে মুখ পুড়ল বাগানের
বুধবার নৈহাটির বঙ্কিমাঞ্জলি স্টেডিয়ামে একে অপরের মুখ দেখেছিল মোহনবাগান এবং কলকাতা কাস্টমস। আসলে ঘরোয়া লিগের সুপার সিক্সে জায়গা করতে বাগান ব্রিগেডের কাছে এই ম্যাচ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সেই মতোই, প্রতিপক্ষের উপর একেবারে ঝাঁপিয়ে পড়ে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। অন্যদিকে ম্যাচের একেবারে প্রথম থেকেই নিজেদের লক্ষ্যভেদ করতে বাগানের উপর চড়াও হয় বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের কাস্টমস। শেষ পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দিয়েই 0-1 ব্যবধানে জয় তুলে নেয় কলকাতা কাস্টমস। হেরেই মাঠ ছাড়ে মোহনবাগন। বলা বাহুল্য, এদিন ম্যাচের 97 মিনিটে কাস্টমসের হয়ে গোল করেছিলেন রৌনক পাল।
সুপার সিক্সে ওঠার রাস্তা যথেষ্ট কঠিন মোহনবাগানের
গতকাল, কলকাতা কাস্টমসের বিরুদ্ধে লজ্জার হারের পর কলকাতা ফুটবল লিগের 9 ম্যাচে 14 পয়েন্ট নিয়ে 6 নম্বর রয়েছে সবুজ মেরুন। এদিকে নিয়ম অনুযায়ী, টুর্নামেন্টের সুপার সিক্সে যোগ্যতা অর্জন করবে গ্রুপের শীর্ষে থাকা মোট তিন দল। যেখানে ইতিমধ্যেই, 10 মাসে 19 পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এছাড়াও সমসংখ্যক ম্যাচে 19 পয়েন্ট তুলে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সুরুচি সংঘ।
তবে সুরুচির থেকে গোলপার্থক্যে পিছিয়ে থাকার কারণে তৃতীয় স্থানে জায়গা পেয়েছে কলকাতা কাস্টমস। কাজেই, কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে জায়গা হওয়াটা যথেষ্ট কঠিন 14 পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা মোহনবাগানের পক্ষে! ফুটবল বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, বাগান যেহেতু বাকিদের থেকে লড়াইয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে, কাজেই ঘরোয়া লিগের সুপার সিক্সে ওঠাটা তাদের পক্ষে কার্যত অসম্ভব!
অবশ্যই পড়ুন: হঠাৎ দীর্ঘকালীন যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বললেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী! কীসের ইঙ্গিত?
উল্লেখ্য, বুধবার অধিনায়ক সন্দীপ মালিকে ছাড়াই কাস্টমসের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে হয়েছিল মোহনবাগানকে। সূত্রের খবর, চোট রয়েছে তাঁর। অন্যদিকে কাস্টমসে জায়গা করেছিলেন রবি হাঁসদার মতো ফুটবলার। ফলত, খেলোয়াড়ের ভারে বাগানের থেকে কিছুটা এগিয়েই ছিল কাস্টমস। ম্যাচ শেষে ফলাফলের পার্থক্যটাই তার প্রমাণ।