সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাদাউন জেলায় ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা। উঝানি এলাকায় কুকুরের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল একটি মহিষের। তবে মহিষটির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। কারণ, গ্রামবাসীরা ওই মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি দই রায়তা খেয়েছিলেন। সেই সূত্রে সতর্কতা হিসেবে ২০০ গ্রামবাসীকে দ্রুত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটি কী?
গ্রামবাসীদের বক্তব্য অনুযায়ী, গত ২৩ ডিসেম্বর উঝানি থানা এলাকার পিপরুল গ্রামে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে গোটা গ্রামকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। আর খাবারে রায়তা পরিবেশন করা হয়েছিল যা গ্রামবাসীরা বেশ আনন্দের সাথেই উপভোগ করে। কিন্তু পরে জানা যায়, যে মহিষের দুধ ব্যবহার করে ওই রায়তা বানানো হয়েছিল, তাকে কয়েকদিন আগে একটি কুকুর কামড়েছে। সবথেকে বড় ব্যাপার, গত ২৬ ডিসেম্বর কুকুরের কামড়ে মহিষটি মারা গেছে বলেও খবর আসে। সেই কারণে সংক্রমনের বিস্তার নিয়ে গ্রামের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। তাই গত শনি এবং রবিবার বহু সংখ্যক পুরুষ, মহিলা এবং যুবক উজ্জয়নী কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জলাতঙ্কের টিকা নিতে ভিড় জমায়।
আরও পড়ুনঃ বিয়ের চাপ সামলাতে না পেরে আত্মহত্যা অভিনেত্রী নন্দিনীর, টলিউডে শোকের ছায়া
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে গ্রামবাসী যশোদা দেবী স্পষ্ট জানিয়েছেন, গ্রামে ত্রয়োদশীর দিন একটি ভোজ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানে সবাই রায়তা খেয়েছিল। পরে যখন একটি কুকুরের কামড়ে ওই মহিষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়, তখন গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়েই টিকা নেওয়ার জন্য ছুটে যায়। আরও এক গ্রামবাসীর কথায়, মহিষটিকে একটি পাগলা কুকুরে কামড়েছিল এবং তারা এই বিষয়ে না জানার কারণেই দুধ থেকে তৈরি দই রায়তা তৈরি করেছিল। আর গ্রামবাসীরা তা বেশ আয়েশ করে খায়।
আরও পড়ুনঃ ৭৯ হাজার কোটির যুদ্ধাস্ত্র পাচ্ছে ভারতের তিন সেনা, মিলল কেন্দ্রের অনুমোদন
তবে এ বিষয়ে চিকিৎসক কর্মকর্তা ডাক্তার রামেশ্বর মিশ্র বলেছেন, গ্রামের একটি মহিষকে পাগলা কুকুরে কামড়েছে এবং জলাতঙ্কের লক্ষণ দেখা যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গিয়েছে। আর গ্রামবাসীরা ওই মহিষের দুধ থেকে তৈরি দই রায়তা খেয়েছে বলে খবর। সর্তকতার জন্য সকলকেই জলাতঙ্কের টিকা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে হ্যাঁ, দুধ ফুটানোর পর সাধারণত জলাতঙ্কের ঝুঁকি থাকে না। তাও সম্ভাব্য ঝুঁকি এড়ানোর জন্য টিকা দেওয়া হয়েছে।