প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হুগলির (Hooghly) ধানমন্ডিতে ফের ধান কেনা বেচা নিয়ে তৈরি হল সমস্যা! বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করল চাষীরা। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের চাষীদের উন্নয়ণের জন্য পদে পদে নানান প্রকল্প, কিষাণ মান্ডি ইত্যাদি উদ্বোধন করে চলেছেন, সেই জায়গায় কিষাণ মান্ডিতেই দালাল চক্র চলছে এমনটাই অভিযোগ তুললেন পাণ্ডুয়া এলাকার চাষিরা। মূলত ধান বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে এই দালাল চক্র চলার অভিযোগ তুলেছেন তারা। রীতিমত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক দফা বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে?
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার হুগলির পাণ্ডুয়া ব্লকের রামেশ্বরপুর দক্ষিণ পাড়ার সিপিসি কিষাণ মান্ডিতে ধান বিক্রি করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে কৃষকরা। অভিযোগ এখানকার মিল মালিকরা কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা সময় কুইন্টাল প্রতি ৫% করে ধান কেটে নিচ্ছে। এদিকে আগে এই ধান কেটে নেওয়ার পরিমাণ ছিল ৪ শতাংশ, হঠাৎ কোনও নোটিস ছাড়াই অতিরিক্ত ১ শতাংশ কেটে নেওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়লেন কৃষকরা। তাঁদের দাবি অত্যন্ত স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা ধান চাষ করি, কিন্তু তার পরেও ৪ শতাংশ কেটে নেওয়ায় হত, যার ফলে লাভের পরিমাণ কমেছে অনেকটাই, এই অবস্থায় ফের ১ শতাংশ অতিরিক্ত কেটে নেওয়ায় লাভ শূন্যে ঠেকেছে।
ক্ষুব্ধ কৃষকরা
হুগলির সিপিসি কিষাণ মান্ডিতে প্রতিবার কৃষকরা ধান বিক্রি করার জন্য আসলে মিল মালিকরা একাধিক অভিযোগ তুলে নানা তর্ক বিতর্ক শুরু করে, যার ফলে অল্প বিস্তর ঝামেলা লেগেই থাকে, কিন্তু গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার সেই ঝামেলা বড় আকার ধারণ করে। প্রত্যেক কৃষকদের কাছ থেকে মিল মালিকরা পাঁচ শতাংশ হারে ধান কেটে নেওয়ায় অনেকেই মিল মালিকদের ওপর চড়াও হয়। কিন্তু এলাকায় সাংবাদিকদের উপস্থিতির কারণে হঠাৎ করেই অভিযুক্তদের সুর পরিবর্তন হয়। এবং গোটা বিষয়টি ভুল বোঝাবুঝি বলেই উড়িয়ে দিতে চান তারা। শেষে এই ঘটনার তদন্তের আশ্বাস দেন মিলের কর্তৃপক্ষ, এবং ভবিষ্যতে যাতে এইরূপ বিশৃঙ্খলার মধ্যে কৃষকদের যাতে পড়তে না হয় সেই দিকও বিচার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: লোবেরার হাত ধরে এটাই হতে পারে মোহনবাগানের শক্তিশালী একাদশ, কারা জায়গা পাচ্ছেন?
এর আগেও, কৃষকদের থেকে জোর করে অতিরিক্ত ধান নেওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছিল হুগলির এই মিল মালিকদের বিরুদ্ধে। এমনকি নানান অজুহাতে ধান কেনা বন্ধ করে দেয় তাঁরা। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন অসহায় কৃষকরা। প্রথম দিকে ক্ষোভ প্রকাশ করলেও পরে ধব বিক্রির জন্য তারা চুপ হয়ে যায়। এই বিষয়ে কৃষকদের অভিযোগ, কাটমানি দিলে খারাপ ধানও নিয়ে নিচ্ছে মিল মালিকেরা৷ কিন্তু টাকা না দিলে ভাল ধানও নিচ্ছে না। তাই গোটা বিষয়টি প্রশাসনের কাছে তুলে ধরতে চান তারা।