সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: গতকাল থেকে হাওয়া গরম বাংলাদেশের। ছাত্র রাজনীতি আর গণ আন্দোলনের অন্যতম পরিচিতি মুখ শরিফ ওসমান হাদি (Osman Hadi) আর নেই। হ্যাঁ, ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থাতে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা বাংলাদেশ কার্যত উত্তাল হয়ে উঠেছে। এমনকি ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ থেকে শুরু করে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় অশান্তির ঢেউ গোটা বাংলাদেশে। কিন্তু কে ছিলেন এই ওসমান হাদি?
কীভাবে মৃত্যু হল ওসমান হাদির?
আসলে এই ঘটনার সূত্রপাত হয় ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পল্টন এলাকার কালভার্ট রোডে। সেই দিন টোটোয় করে যাওয়ার সময় খুব কাছ থেকেই অজ্ঞতা পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা ওসমান হাদির মাথায় গুলি চালিয়েছিল। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হলেও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স করে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিউরোসার্জিক্যাল আইসিইউ-তে পাঠানো হয়। কিন্তু ডাক্তারদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থের পর ১৮ ডিসেম্বর তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর প্রয়াণে গোটা বাংলাদেশে গতকাল রাতে শুরু হয়েছে প্রতিবাদের ঢেউ। এমনকি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ঘটেছে।
কে এই ওসমান হাদি?
বলে দিই, ওসমান হাদি ছিলেন সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের সবথেকে ব্যতিক্রমী ছাত্র নেতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ছাত্র রাজনীতিতেই তাঁর উত্থান। ছাত্র অধিকার, শিক্ষা বাণিজ্যিকরণ এবং রাষ্ট্রীয় দমন নীতির বিরুদ্ধেই তিনি সোচ্চার ছিলেন। ২০২৪ সালের ছাত্র আন্দোলনে তিনি হয়ে ওঠেন অন্যতম মুখ। এমনকি ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক এবং মুখপাত্র হয়েছিলেন তিনি, যেখান থেকে শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র এবং তরুণদের ক্ষোভ তৈরি হয়।
২০২৪ সালের জুলাই মাসে যে ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের রূপ নিয়েছিল, তার সবথেকে বড় চালিকাশক্তি ছিল ইনকিলাব মঞ্চ। মিছিলে হাদির স্লোগান, তাঁর বক্তব্য, ক্যামেরাতে ভয়ডরহীন অবস্থান তাঁকে দ্রুত জনপ্রিয় করে তোলে। এমনকি সমর্থকদের চোখে তিনি ছিলেন একমাত্র ভয় না পাওয়া নেতা। সরকারের কাছে তিনি হয়ে ওঠেন উস্কানির ত্রাতা এবং হুমকির প্রতীক। সবথেকে বড় ব্যাপার, ইনকিলাব মঞ্চ ভেঙ্গে দেওয়া হলেও তিনি রাজনীতি ছাড়েননি। তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ঢাকা-৮ আসন থেকেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়বেন।
আরও পড়ুন: অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের সাথে যৌথভাবে নতুন ক্রেডিট কার্ড লঞ্চ করল Google Pay, কী কী সুবিধা মিলবে?
তবে তাঁর অকাল প্রয়াণে বাংলাদেশের পরিস্থিতি রাতারাতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ঢাকার শাহবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় বিক্ষোভ। এমনকি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’, ‘দ্য ডেইলি স্টার’ এর দফতরে হামলার অভিযোগও ওঠে। পাশাপাশি ভারতের দূতাবাস, আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা হয়। আর চট্টগ্রামে এক সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। সবথেকে বড় ব্যাপার, ময়মনসিংহে এক সংখ্যালঘু যুবককে পিটিয়ে মেরে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এক কথায়, এই অশান্তির আগুন ঢাকার বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে।
661betcom… giving it a quick look. Decent interface and selection. Might be worth a small wager. What do you guys think? Give it a try 661betcom.