প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বরাবরই স্কুলের মিড ডে মিলে ডাল, ভাত, খিচুড়ি বড়জোর ডিম বা সোয়াবিনের তরকারি মেলে। তাই স্বাদের পরিবর্তন খুব কম হয় বলেই দেখা যায়। অগত্যা সেই খেয়েই পেট ভরাতে হয় সরকারি স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের। তবে এবার রোজকার নিয়মের বাইরে বেরিয়ে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের দেওয়া হল চিকেন বিরিয়ানি এবং চিকেন চাউমিন। আর সেটাই যেন অমৃত হিসেবে চেটে পুটে খেল খুদে পড়ুয়ারা।
এলাহি আয়োজন স্কুলে
বর্তমান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাই স্কুলে গত শুক্রবার ২৫ জুলাই দুপুরে পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিলের স্বাদ পূরণ করার জন্য চিকেন বিরিয়ানির আয়োজন করা হয়েছিল। তার সঙ্গে পড়ুয়াদের জন্য ছিল ডিম। বেশ আনন্দের সহকারে সকল পড়ুয়ারা তৃপ্তি করে খেয়েছে। যদিও এটা প্রথমবার নয়, বেশ কয়েক মাস ধরে এমন বাহারি স্বাদের খাবার পাচ্ছে ভগবান চন্দ্র বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আসলে এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ সুন্দরবনের এই প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে করেছেন এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও অন্যান্য শিক্ষকরা।
হিসেব বুঝে পড়ুয়াদের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা
পড়ুয়াদের জন্য এই অসাধারণ উদ্যোগ নিয়ে নানা আধিকারিক ও স্থানীয়রা মেনু দেখে বেশ প্রশংসা করেছেন। স্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা বেশি হলেও সততার সঙ্গে কাজ করলেই পড়ুয়াদের একটু ভাল খাওয়ানো যায়। তার জন্য নিজেদের পকেট থেকে কোনও খরচ করতে হয় না। কারণ, খুব নিপুণভাবে হিসেব করে গোটা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আসলে এই স্কুলে একবারে সারা মাসের বাজার করা হয়। যেদিন মেনুতে ভাতের সঙ্গে শুধু আলু, সবজি, সোয়াবিন, কুমড়ো রাখা হয় সেদিনের খরচ অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই কম থাকে। ফলে ওই দিনের খাবারে বেঁচে যায় কিছুটা টাকা। আর সেই টাকা দিয়েই এই ধরনের ব্যবস্থা করা হয়।
আরও পড়ুন: যান্ত্রিক ত্রুটি সাড়াতে হামাগুড়ি দিয়ে ট্রেনের তলায় সহকারী চালক! ভাইরাল ভিডিও
চিকেন চাউমিনের ব্যবস্থা পড়ুয়াদের জন্য
জানা গিয়েছে, কুলতলির জামতলা ভগবানচন্দ্র হাইস্কুলটিতে রয়েছে প্রায় ১৮০০ পড়ুয়া। এদিন সকলে উপস্থিত ছিলেন। পাতে চিকেন বিরিয়ানি পড়তেই তারা আহ্লাদে আটখানা। পঞ্চম শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য ছিল এই খাওয়ার আয়োজন। অন্যদিকে মিড ডে মিলের ভিন্ন স্বাদের তৃপ্তি পাওয়া গিয়েছে, পরেরদিন অর্থাৎ শনিবার, ২৬ জুলাই, হাওড়ার শ্যামপুরের রামেশ্বরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের স্বাদ পূরণ করার জন্য আনা হয়েছে এগ চিকেন চাউমিন। ভিন্ন স্বাদের এই খাবার পেয়ে পড়ুয়াদের চোখে মুখে যেন বাঁধ ভাঙ্গা হাসি ফুটে উঠেছে।