ক্যান্সারের বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর জীবনাবসান! মাতৃহারা হলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়

Roopa Ganguly

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: শিল্পী হিসেবে মঞ্চে বা পর্দায়, বারংবার দর্শকদের মন কেড়েছেন তিনি। এমনকি ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ঠিক সেরকমই লড়াকু ছিলেন। তবে আজ সেই লড়াইয়ের দৌড় গভীর অন্ধকারে থেমে গেল। হ্যাঁ, অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের (Roopa Ganguly) মা যুথিকা গঙ্গোপাধ্যায় দীর্ঘদিন ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন।

স্বাধীনতা দিবসের দিন গভীর রাতে এক ফেসবুক পোস্টে রুপা গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন, আজ “আমার মা চলে গেলেন বাবার সঙ্গে দেখা করতে।” শুক্রবার রাতেই অভিনেত্রীর মায়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। 

roopa ganguly

অনেক কষ্টের পরই আজ এখানে!

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে এদেশে এসে একা হাতেই মেয়েকে মানুষ করেছিলেন যুথিকা দেবী। আর সেই সময় রূপার বাবা বাংলাদেশের ছিলেন। মা ছিলেন তাঁর একমাত্র ভরসা। সংসারে দারিদ্র ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। অন্তত 20 বার ভাড়াবাড়ি বদলাতেও হয়েছে তাঁদের। কখনো যোধপুরে কিংবা কখনো শহরের অন্য প্রান্তে। ভাড়াবাড়ি ছিল তাদের আস্তানা।

এদিকে যুথিকা দেবী ছিলেন দক্ষ হাতের কাজের কারিগর। বড়বাজার থেকে কাপড় কিনে আনতেন তিনি। আর সেই কাপড় দিয়েই সায়া, পর্দা, বালিশের কভার ইত্যাদি তৈরি করতেন। সেই কাজ করেই চলত সংসার। রোজগার বলতে গেলে মাত্র 200 টাকা। তবুও সেই সামান্য আয় দিয়েই তিনি রূপাকে বড় করেছেন, লড়াইয়ে বাঁচতে শিখিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ গ্রাহকদের ঝটকা দিয়ে ফিক্সড ডিপোজিটে সুদের হার কমাল দেশের বড় ব্যাঙ্ক!

পাশাপাশি একটি চৌকি আর একটি সেলাই মেশিন ছিল তাদের মূল সম্বল। রূপাও মাঝে মাঝে তাঁর মাকে কাজে সাহায্য করত। অর্থাভাব থাকলেও রূপা দেবী কখনো ভেঙে পড়েননি। মায়ের কাছ থেকেই জীবনকে সামলানোর শক্তি পেয়েছিল সে। এক সাক্ষাৎ করে তিনি এও বলেছেন, আমার মা’ই আমার আসল লড়াই শেখানো শিক্ষক।

তবে সেই মায়ের অকাল প্রয়াণে ভেঙে পড়েছেন অভিনেত্রী। হ্যাঁ, সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর আবেগঘন পোস্টের পর অনুরাগী থেকে শুরু করে ঘনিষ্ট মহলের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েও আর শেষ রক্ষা হয়নি। ক্যান্সারের মতো মারণ রোগের সঙ্গে লড়াই করেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন যুথিকা দেবী…!

Leave a Comment