প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: হুগলির খানাকুল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলল বিজেপি! মহিলাদের শাড়ি টেনে ছেঁড়ার পাশাপাশি পুরুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের অভিযোগে ক্ষিপ্ত গোটা গ্রামবাসী। আর এই ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই ব্যাপক বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের।
রক্ষক আজ ধর্ষক! হিন্দু মহিলাদের ওপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠলো হুগলির
খানাকুল থানার ওসি মুনশি হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে।থানায় থানায় বসিয়ে ধর্ষক, নারীর নির্যাতন দেখেও পুলিশমন্ত্রী আজ নীরব দর্শক। pic.twitter.com/lhq6IidUKo
— BJP West Bengal (@BJP4Bengal) August 24, 2025
ঘটনাটি কী?
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে বঙ্গ বিজেপির পেজ থেকে হুগলির খানাকুল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসির বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর নির্যাতন ও শ্লীলতাহানির গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। সেই পোস্টে গেরুয়া শিবির দাবি করেছে যে, “রক্ষক আজ ধর্ষক! হিন্দু মহিলাদের ওপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল হুগলির খানাকুল থানার ওসির বিরুদ্ধে। থানায় থানায় বসিয়ে ধর্ষক, নারীর নির্যাতন দেখেও পুলিশমন্ত্রী আজ নীরব দর্শক।” এমনকি স্থানীয় হিন্দু মহিলারা অভিযোগ তুলেছেন যে, ওসি তাঁদের পরিবারের পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছেন এবং গ্রামে এসে মহিলাদের শ্লীলতাহানি ও অপমান করছেন।
ভাইরাল ভিডিও
দিনের পর দিন হুগলির খানাকুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মুনশি হামিদুর রহমানের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মধ্যে ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে। আর এই নিয়ে কয়েকজন মহিলা তাঁদের ক্ষোভ ও অভিযোগ প্রকাশ করছেন, যা ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। সেই ভিডিওতে এক মহিলাকে বলতে শোনা গিয়েছে, “তিনি মুসলিম পুলিশ, তাই আমাদের উপর অত্যাচার করেন। তিনি মহিলাদের শাড়ি টেনে ছিঁড়েছেন।” হিন্দু পরিবারগুলোর উপর অত্যাচারের এইরূপ পরিণতিতে গ্রাম জুড়ে ব্যাপক বিতর্ক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে এই ঘটনাকে ধর্মীয় ভিত্তিতে নির্যাতন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আরও পড়ুন: সন্দেশখালির প্রতিচ্ছবি জামালপুরে, TMC নেতা ফিরোজের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ
তদন্তের নির্দেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খানাকুল এলাকায় এই ধরনের ঘটনা এর আগেও ঘটেছে। হিন্দু মহিলারা বারংবার অভিযোগ করেছেন যে, পুলিশের এই আচরণ তাঁদের দৈনন্দিন জীবনে এক ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। আইন রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে তখন পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ প্রদান করে বলে তাঁদের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত এই অভিযোগগুলো কতটা সত্যি তা জানার জন্য সরকারি তরফে কোনও নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচনের আগে তৃণমল সরকারের পুলিশের বিরুদ্ধে উঠে আসা এই অভিযোগ তুরুপের তাস হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।