প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: জঙ্গল থেকে উদ্ধার হল অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবতীর মৃত দেহ। শুক্রবার দুপুরে দেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোল (Asansol) দক্ষিণ থানার ডামরা ১০ নং এলাকার পলাশডাঙ্গায়। স্থানীয়দের দাবি, ঐ যুবতীকে ধর্ষণ করে খুন করার পরে দুষ্কৃতিরা দেহ এই জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিয়ে পালায়। গোটা ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে গোটা এলাকায়। তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ।
জঙ্গল থেকে উদ্ধার যুবতীর মৃতদেহ!
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার, বেলা বারোটা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার ডামরা ১০ নম্বর এলাকায় পলাশডাঙ্গার জঙ্গলের মধ্যে এক যুবতীর মৃতদেহ দেখতে পান এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। ওই যুবতীর পড়নে ছিল নীল ও সাদা প্রিন্টের শালোয়ার কামিজ। রক্তের দাগ দেখতে পাওয়া যায় জামাকাপড়ে। চোখমুখে রক্তের দাগ এবং গলায় কালশিটে দাগ ছিল। মৃত যুবতীকে এই অবস্থায় দেখে সঙ্গে সঙ্গে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ আসলে জঙ্গলের ভেতরে কাঁটাগাছ সরিয়ে ওই মৃত যুবতীর দেহ উদ্ধার করে।
ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হল দেহ
পুলিশ যুবতীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। অজ্ঞাত পরিচয় ঐ যুবতীর বয়স ২০ থেকে ২২ বছর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। যুবতীর ছবি আশপাশের বিভিন্ন থানায় পাঠিয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, কোন এলাকা থেকে কেউ মিসিং আছে কিনা। জানা গিয়েছে আজ অর্থাৎ শনিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে যুবতীর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত করা হবে। ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ধ্রুব দাস ও এসিপি বিশ্বজিৎ নস্কর আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন। তারা ঘটনাস্থলে যাওয়া পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে যে তাকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি দুর্যোগের মাঝেই সেপ্টেম্বরে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা! দিনক্ষণ ঘোষণা
এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
স্থানীয় বাসিন্দা চন্দন গান্ধী বলেন, এটি একটি আদিবাসী এলাকা। বেশিরভাগ আদিবাসী মহিলা ও মেয়েরা এখানে বিভিন্ন কাজের জন্য আসে। কেউ কাঠ সংগ্রহ করতে বা আবার কেউ অন্য কাজের জন্য আসে। সেক্ষেত্রে তাই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠছে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি ধ্রুব দাস বলেন, যুবতীর দেহ ময়নাতদন্তের পরেই এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাবে। তার আগে এই ব্যাপারে কিছু বলতে চাই না।