প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: অযোগ্য শিক্ষাকর্মীদের তালিকা প্রকাশ করা হলেও এখনও বাকি যোগ্যদের তালিকা। এদিকে স্কুলে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি শিক্ষাকর্মী নিয়োগের প্রক্রিয়ায় যোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করতে নারাজ স্কুল সার্ভিস কমিশন! মানতে চাইছে না হাইকোর্টের নির্দেশ। এমতাবস্থায় কলকাতা হাই কোর্টের তালিকা প্রকাশের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হল এসএসসি। ফের মামলার জল গড়াল শীর্ষ আদালতে।
তালিকা প্রকাশের নির্দেশ হাইকোর্টের
উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃতা সিনহা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, SSC ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার ‘দাগি’ অযোগ্যদের বিস্তারিত তালিকা প্রকাশ করতে হবে। বলা হয়েছিল, চিহ্নিত ‘দাগি’ নন, এমন শিক্ষাকর্মী ও চাকরিপ্রার্থীর তালিকা ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করতে হবে কমিশনকে। পাশাপাশি, হাই কোর্ট আরও নির্দেশ ছিল, চলতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যে নতুন পরীক্ষাপর্ব চলছে, তাতে যোগ্য গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি প্রার্থীদের বয়সে ছাড় দিয়ে নতুন নিয়োগে আবেদন করার সুযোগ দিতে হবে। এদিকে আজই তালিকা প্রকাশ করার শেষদিন, কিন্তু গত শুক্রবার অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করলেও এখনও যোগ্যদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেনি স্কুল সার্ভিস কমিশন। এবার হাইকোর্টের রায়কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল SSC।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা SSC-র
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ‘দাগি’ শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশের পর, এবার, ‘দাগি’ শিক্ষাকর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন। ২০১৬-র SSC-র গ্রুপ C ও গ্রুপ D নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সর্বমোট ৩ হাজার ৫১২ জনের নাম SSC- র ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে। কিন্তু হাইকোর্ট এবার যোগ্য শিক্ষা কর্মীদের তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দিলে তাতে আপত্তি জানায় এসএসসি। এমনকি নতুন পরীক্ষায় গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি যোগ্যদের বয়সে ছাড়ের ব্যাপারেও নারাজ, তাই এবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে মামলা কমিশনের। জানা গিয়েছে চলতি সপ্তাহে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে জুতোর দোকান! পঞ্চায়েত সমিতি ভাড়া নেয়, দাবি ব্যবসায়ীর
প্রসঙ্গত, চলতি বছর, এপ্রিলে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শিক্ষকদের পাশাপাশি গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি পরীক্ষায় যাঁরা বসেছিলেন, তাঁদের প্রায় সকলেরই চাকরি বাতিল হয়েছিল। এরপরই সুপ্রিম কোর্ট নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। শিক্ষকদের নিয়োগ পরীক্ষা হয়ে গেলেও বাকি এখনও শিক্ষাকর্মীরা। তাই শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রেও যাতে কোনও অযোগ্য চাকরির পরীক্ষায় বসতে না পারেন সেই জন্যই এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কারণ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ নতুন করে যে পরীক্ষা নেওয়া হবে সেখানে যেন কোনও ‘অযোগ্য’ শিক্ষাকর্মী বসতে না পারেন সেদিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।