সহেলি মিত্র, কলকাতা: এও সম্ভব! চলন্ত ট্রেন থেকে উধাও হয়ে গেল আস্ত একটাই জলজ্যান্ত মানুষ! তাও কিনা যাত্রী ভর্তি ট্রেন থেকে। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, শালিমার এক্সপ্রেস থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে এক মেধাবী পড়ুয়া। খড়গপুর আইআইটিতে (IIT Kharagpur) ভর্তি হতে যাচ্ছিলেন বছর ১৯-এর অর্জুন পাটিল। সঙ্গে ছিলেন বাবা রবীন্দ্রকুমার পাটিল। রবীন্দ্রকুমারের অভিযোগ, ছেলেকে অপহরণ করা হয়েছে মাঝপথে।
ট্রেন থেকে ‘অপহৃত’ মেধাবী পড়ুয়া!
IIT খড়্গপুরে সুযোগ পাওয়া মুখের কথা নয়। সেখানে খড়্গপুর আইআইটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন অর্জুন। গত ২০ আগস্ট সকালে শালিমার এক্সপ্রেসে বাবার সঙ্গে ভর্তি হতে আসছিলেন তিনি। রবীন্দ্রকুমার পাটিলের দাবি, ‘ট্রেনটি ঝড়খণ্ডের চাকুলিয়া স্টেশনে পৌঁছলে অর্জুন মোবাইল ফোন চার্জে বসিয়ে টয়লেটে যায়। তার পর থেকে ওর খোঁজ মিলছে না।’ ছেলেকে খুঁজে না পেয়ে রীতিমতো দিশেহারা অবস্থা বাবা ও মা মমতা দেবীর। অর্জুন মহারাষ্ট্রের জলগাঁও-এর বাসিন্দা।
আরও পড়ুনঃ খরচ ২০০০ কোটি! সরকারি কর্মীদের সুখবর দিয়ে DA, DR অনুমোদন করল রাজ্য সরকার
এদিকে পুলিশ তদন্তে নেমে হাতে পায় আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। খড়্গপুর আইআইটি কর্তৃপক্ষের দাবি, অর্জুন পাটিল নামের ছাত্রকে ভর্তির জন্য কোনও মেল করা হয়নি। সে ক্ষেত্রে কেন বাবা-মাকে খড়্গপুর আইআইটি-তে ভর্তির কথা বলেছিল ওই তরুণ? উঠছে প্রশ্ন। কেউ কি মিথ্যে কথা বলছে? ঘনাচ্ছে জোরাল রহস্য।
তদন্ত শুরু পুলিশের
সূত্রের খবর, অর্জুনকে অপহরণ করা হয়েছে জানিয়ে প্রথমে খড়্গপুর জিআরপি-তে অভিযোগ দায়ের করেন রবীন্দ্রকুমার। পরে সেই অভিযোগ পাঠানো হয় চাকুলিয়া জিআরপি-তে। এই বিষয়ে খড়্গপুর ডিভিশনের এসআরপি দেবশ্রী সান্যাল বলেন, ‘খড়্গপুর জিআরপি-তে জিরো FIR হয়েছে। এখান থেকে চাকুলিয়া জিআরপি-তে তা স্থানান্তরিত করা হয়েছে। তারাই এই ঘটনার তদন্ত করছে। কারণ ওই স্টেশন থেকেই তরুণ নিখোঁজ হয়েছিল।’ রেল পুলিশের তরফে জানানো হচ্ছে, অর্জুনের কাছে যেহেতু কোনও মোবাইল ফোন নেই, তাই তাঁকে ট্র্যাক করতে বেশ হিমশিমই খেতে হচ্ছে। যদিও সবদিকের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।