চাকরিপ্রার্থীরা অতিরিক্ত ১০ নম্বর পাবে? SSC-র নিয়োগ নিয়ে বড় মন্তব্য হাইকোর্টের

Calcutta High Court

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সময় অনেক এগিয়ে গেলেও SSC জট যেন কিছুতেই কাটছে না। রাজ্যে নবম দশম এবং একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ নিয়ে একের পর এক ঝঞ্ঝাট তৈরি হয়েছে। যদিও একাধিক সমস্যার মাঝে গত ৭ এবং ১৪ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল। এমনকি কিছুদিন আগে প্রকাশিত হয়েছিল একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল। কিন্তু তার মাঝেই সেই নিয়ে মামলা উঠল হাইকোর্টে। নবম দশমের শিক্ষকতা করা একজন প্রার্থী কীসের ভিত্তিতে একাদশ দ্বাদশের পরীক্ষায় অভিজ্ঞতার জন্য ১০ নম্বর পাবেন সেই নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে মামলা তোলা হল হাইকোর্টে (Calcutta High Court)।

অভিজ্ঞতার নম্বর নিয়ে চ্যালেঞ্জ

SSC নিয়মের বিতর্কের মাঝে অভিজ্ঞ প্রার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ১০ নম্বর বরাদ্দের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস-সহ একদল ‘যোগ্য’ প্রার্থী। গতকাল অর্থাৎ সোমবার, মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, “ নবম–দশম এবং একাদশ–দ্বাদশ স্তরের শিক্ষকতার অ্যাকাডেমিক যোগ্যতা যেমন আলাদা, অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রেও তেমন রয়েছে পার্থক্য। সেই অবস্থায় নবম দশম শ্রেণিতে পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকা প্রার্থীদের যদি একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষকতার জন্য অভিজ্ঞতার নম্বর দেওয়া হয়, তাহলে তা সম্পূর্ণ নীতির বিরুদ্ধে যায়।” এছাড়াও আবেদনকারীদের তরফে এও প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, শিক্ষকরা এতদিন শিক্ষকতা করছেন কিন্তু তাদের কেন আবার টিচিং ডেমনস্ট্রেশন দিতে হবে? যা নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে সকলে।

ঝুলে রয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের ভবিষ্যৎ

গত শুক্রবার, একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীর নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ্যে এলেও তাঁদের ভবিষ্যৎ এখনও ঝুলে রয়েছে। কারণ বিচারপতি অমৃতা সিনহা স্পষ্ট নির্দেশ দেন যে স্কুল কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে যতদিন না ফয়সালা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত নিয়োগ পর্ব শুরু করা যাবে না। অর্থাৎ, আপাতত ফল প্রকাশিত হলেও নিয়োগের প্রক্রিয়া নির্ভর করবে মামলার রায়ের উপর। যার ফলে বেশ দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়তে হয়েছে চাকরিপ্রার্থীদের। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে আরও একটি মামলা উঠেছে হাইকোর্টে, আর সেটি হল প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ। ইতিমধ্যেই মামলা দায়ের করা হয়েছে হাইকোর্টে। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে।

আরও পড়ুন: “সংবিধানের কোন ধারা মেনে দল থেকে সাসপেন্ড?” বাড়ি ফিরতেই মমতাকে চিঠি পার্থর

ফের প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ

শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে একাধিক মামলায় জর্জরিত রাজ্যে। কখনও টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ, আবার কখনও প্রশ্নপত্রে ভুলের অভিযোগ। একাধিক বিষয়ের প্রশ্নে ভুল ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। আবেদনকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিমের অভিযোগ, এডুকেশন বিষয়ে দুটো প্রশ্ন ভুল ছিল। ইতিহাসের একটি প্রশ্ন ভুল ছিল ও ভূগোলের তিনটি প্রশ্ন ভুল ছিল। এবার দেখার পালা কোন কোন মামলায় কার পাল্লা বেশি ভারী হয়।

Leave a Comment