সৌভিক মুখার্জী, ঝাড়গ্রাম: ফের একবার আলোচনার শিরোনামে সিভিক ভলেন্টিয়ার। এবার চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা। ঝাড়গ্রামে ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছে অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ার (Jhargram Civic Volunteer Arrest)। জানা গিয়েছে, ওই ধৃতের নাম দিব্যেন্দু পাল। তিনি জামবনি থানার মুড়াকাটি গ্রামের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই তাকে ঝাড়গ্রাম জেলা আদালতে তোলা হয়েছে এবং চারদিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিচারক। এই ঘটনা নিয়ে গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য।
চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করেই প্রতারণা
স্থানীয় রিপোর্ট মারফৎ জানা গিয়েছে, জামবনি ব্লকের ৯ নম্বর অঞ্চলের পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় কাজ দেখাশোনা করার জন্য পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা থানার লোয়েদা এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা অমিত কল মুড়াকাটা গ্রামের নীলকান্ত পালের বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন। ওই বাড়ির মালিকের ছেলে দিব্যেন্দু পাল, যিনি একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার। তার সঙ্গে পরিচয় হয় অমিত কল নামের ওই ভাড়াটিয়ার। তবে তার স্ত্রীকে গ্রুপ ডি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দাবি করেন ওই সিভিক। এমতাবস্থায় গত ১৪ মার্চ অমিত কল তাকে ওই ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা দিয়েও দেন। তবে এখানেই বাধে বিপত্তি।
সূত্রের খবর, গত ২০ মার্চ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের অফিসিয়াল মেল থেকে অমিত কলের স্ত্রী পিঙ্কি দেবীর মেল আইডিতে একটি ইন্টারভিউ এর জন্য মেল পাঠানো হয়। এমনকি সেখানে সরকারি লোগো, স্ট্যাম্প সবকিছুই ছিল। তবে সবটাই ছিল দিব্যেন্দুর জালিয়াতি। জানা যায়, ওই ভুয়ো নিয়োগপত্র দেখানোর পর টাকার দাবি করে বসে ভলেন্টিয়ার। এরপর গত ২৭ মার্চ আরও ১৩ হাজার টাকা দেন তারা। ফলত মোট ১ লক্ষ ৫৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করে ওই সিভিক ভলেন্টিয়ার।
আরও পড়ুনঃ ২৭ নভেম্বর শুক্র আর শনি মিলে তৈরি করছে নবপঞ্চম যোগ! বিরাট উপকার পাবে ৫ রাশি
সন্দেহ হতেই ওই দম্পতি জেলা পরিষদে যান। আর সেখান থেকেই স্পষ্ট হয় যে তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপর কূলকিনারা না খুঁজে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তারা জামবনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পুলিশ ওইদিন রাতেই অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আদালতে তোলা হয়। এরপর পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি এই চক্রে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে।