কৃশানু ঘোষ, কলকাতাঃ আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা প্রায়শই নানা রকমের মাছি দেখতে পাই। কিন্তু, সেগুলির মধ্যে কোনটাই আমাদের প্রত্যক্ষভাবে ক্ষতি করে না। কিন্তু, এবার সময় এসেছে সাবধান হওয়ার, কারণ সম্প্রতি মাংসোখেকো মাছির আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন একজন! আর এই আক্রমণ হতে পারে আরও ভয়ঙ্কর! চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
সম্প্রতি, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC)-এর সহায়তায় মার্কিন স্বাস্থ্য ও মানবসেবা বিভাগ (HHS) জানিয়েছে যে, গত ৪ আগস্ট, এল সালভাদোর থেকে ফেরা একজন মেরিল্যান্ড নিবাসী নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওয়ার্ম (New World Screwworm) মায়াসিস রোগে আক্রান্ত হয়েছে।
কী এই নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওয়ার্ম মায়াসিস রোগ?
এখন অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে কী এই নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওয়ার্ম (NWS) মায়াসিস রোগ? তার আগে জানতে হবে কী এই নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওয়ার্ম? নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওয়ার্ম হল Cochliomyia Hominivorax নামক এক ধরনের মাছির লার্ভা। এই Cochliomyia hominivorax প্রজাতির স্ত্রী মাছিরা গরম রক্ত আছে এমন প্রাণীদের বিভিন্ন খোলা ক্ষতস্থান, যেমন ঘা, আঘাত কিংবা মুখের মতো নরম টিস্যুকে বেছে নেয় ডিম পাড়ার জন্য, আর একবারে ৩০০টি পর্যন্ত ডিম পাড়তে পারে। যখন ডিম ফোটে, তখন ওই লার্ভাগুলি আশেপাশের মাংস খেতে শুরু করে, যার ফলে তীব্র ব্যথা হয়, এবং চিকিৎসা না হলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আর এই রোগটিকেই বলা হয় নিউ ওয়ার্ল্ড স্ক্রুওয়ার্ম (NWS) মায়াসিস।
New World screwworm is a species of parasitic flies that feed on live tissue. The name refers to the way in which maggots screw themselves into the tissue of animals with their sharp mouth hooks, causing extensive damage and often leading to death. https://t.co/A1R8VRnzxQ pic.twitter.com/maAAKPnqP9
— ABC News (@ABC) August 25, 2025
আরও পড়ুনঃ “যারা খরচের হিসেব দেয়নি, তারা পাবে না টাকা!” পুজো অনুদান মামলায় বড় নির্দেশ হাইকোর্টের
মার্কিন বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা গিয়েছিল, কয়েক দশক আগেই সেই দেশ থেকে নির্মূল করা হয়েছিল এই ধরনের মাছি। কিন্তু সম্প্রতি পুনরায় এই রোগ ফিরে এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে। যার ফলে স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে গবাদি পশুদের ক্ষেত্রে।
হতে পারে। মার্কিন কৃষি বিভাগ (USDA)-এর মতে, পশুদের মধ্যে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ভয়াবহ হতে পারে। যার ফলে ক্ষতি হতে পারে কয়েক কোটি ডলার ক্ষতি হতে পারে এবং দেশের গবাদি পশু শিল্প হুমকির সম্মুখীন হতে পারে।