চিকিৎসকের বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ! সন্তানশোকের মাঝেই মুখ খুললে সোহিনী গাঙ্গুলি

sohini ganguly baby news

সহেলি মিত্র, কলকাতা: অবশেষে সামনে এলেন জনপ্রিয় সোশ্যাল ইনফ্লুয়েন্সার সোহিনী গাঙ্গুলি (Sohini Ganguly)। গত ২২ ও ২৩ আগস্ট তাঁর এবং তাঁর সন্তানের সঙ্গে ঠিক কী কী ঘটেছিল তা জানালেন সোহিনী। স্বামী অনির্বাণকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর জীবনে ঘটে যাওয়া এক ভয়ানক ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিলেন সোশ্যাল মিডিয়ার এই জনপ্রিয় মুখ। কীভাবে মাসের পর মাস নিজের শরীরের ভেতর বেড়ে ওঠা প্রাণকে বুঝতে পেরেও শেষ অবধি তাঁর মৃত্যু দেখেছেন, সবটাই হাউমাউ করে কেঁদে জানিয়েছেন তিনি।

সন্তানশোক নিয়েই ভিডিও করলেন সোহিনী

প্রেগনেন্সির সময় থেকে আজ অবধি জীবনে যা যা ঘটেছে সেসব আপডেট নিজের সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করে নিয়েছিলেন সোহিনী। সোহিনী অনেক মাস ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তার গর্ভাবস্থার আপডেট শেয়ার করে আসছিলেন। তবে সন্তান হারানোর মতো এই মর্মান্তিক ঘটনার পর, তার ভক্তরা কমেন্ট সেকশনে তাদের ভালোবাসা এবং সমর্থন ভাগ করে নিচ্ছেন। আর তাদের সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে এবার প্রকাশ্যে ভিডিও বার্তা দিলেন সোহিনী এবং তার স্বামী।

আরও পড়ুনঃ চায়ের মধ্যে বিষ ছিল? গ্রেফতার হতেই বড় তথ্য দিলেন বাগদার দুই গৃহবধূ, নিখোঁজ প্রেমিক

ভিডিও-র শুরুতেই তিনি জানান, ‘আমি এমনই একজন অভাগা মা, আমার বুকের দুধ শুকিয়েছে কিনা, আমি জানি না। সেলাইও এখনও কাটেনি। তাও আমাকে এই নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। কারণ সবার সবটা জানা উচিত। এতদিন ধরে অনেক ট্রোল, অনেক কথা আমাকে শুনতে হয়েছে।’ সোহিনী আরও জানান, ২২ তারিখ সকালে তিনি বুঝতে পারেন যে, গর্ভের শিশু নড়াচড়া করছে না বা খুব হালকা বোঝা যাচ্ছে। তখনই তাঁরা চিকিৎসককে ফোন করেন, চিকিৎসক তাঁদের চেক আপের জন্য আসতে বলেন। সোহিনী ও তাঁর স্বামী সেখানে পৌঁছলে তাঁদের একটি ইউএসজি করতে বলা হয়। জানা যায়, শিশুর গলায় কর্ড বা নাড়ি জড়িয়ে রয়েছে। সোহিনী ও তাঁর পরিবারের অভিযোগ, শিশুর অবস্থা বিপজ্জনক বুঝেও, কেবলমাত্র অন্য জায়গায় ক্লাস করাতে যাবেন বলে তখনই অস্ত্রোপচার করেননি চিকিৎসক। চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, এখনই অস্ত্রোপচার করে শিশুকে বের করে নিলে বিপদ হতে পারে। সেই কারণে সোহিনীকে একদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরামর্শ দিয়ে ক্লাস করাতে বেরিয়ে যান ওই চিকিৎসক।

সোহিনী জানান, ‘একাধিকবার ইউএসজি করাই। বলা হয় শিশুর হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছে কিন্তু খুব ক্ষীণ। তারপরেও ডাক্তার এসএন দাস জানান যে তিনি সকাল থেকেই জানতেন বাচ্চাটি মারা গিয়েছে। আমাকে যখন অপারেশন টেবিলে শোয়ানো হয় তখন চিকিৎসক বলেন আমার দোষে নয়, আপনার দোষেই শিশুটি মারা গিয়েছে। আমি বিস্বাস করতে থাকি তাহলে কী সেদিনের সেই ভিডিও পোস্ট করার জন্যই কী আমার শিশু মারা গিয়েছে।’

Leave a Comment