বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিনকে কোণঠাসা করতে এবার বড় পদক্ষেপ আমেরিকার! ফরচুন ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ড্রাগনের দেশকে টেক্কা দিতে এবার আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আশ্রয় নিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই মর্মে, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে বৃহৎ পরিকল্পনা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকাকে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স জগতে শীর্ষ নেতা করে তুলতেই বড় পরিকল্পনা তৈরি করে ফেলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও শোনা যাচ্ছে, আমেরিকার এমন পদক্ষেপে ড্রাগন নাকি অভিযোগ করেছে, বেশ কিছু দেশ কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার ওপর একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করতে চাইছে। তবে যাই হোক, ট্রাম্পের এমন পদক্ষেপে AI খাতে আমেরিকার উন্নতি হওয়ার পাশাপাশি লাভ হবে ভারতেরও, এমনটাই আশা বিশেষজ্ঞ মহলের।
ট্রাম্পের AI সংক্রান্ত পরিকল্পনা
রিপোর্ট বলছে, আসলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স পরিকল্পনার আওতায় ট্রাম্প আমেরিকাকে AI দুনিয়ায় শীর্ষে পৌঁছে দিতে চান। আর সেই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে পরিকল্পনা। শোনা যাচ্ছে, স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দিতে আমেরিকার বুকে গড়ে উঠবে একাধিক ল্যাব। তৈরি হবে ডেটা সেন্টার। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ল্যাব এবং ডাটা সেন্টার তৈরির মাধ্যমে চিপ তৈরির প্রক্রিয়া আরও গতিশীল হবে আমেরিকায়।
একই সাথে, যাতে AI সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন আরও শিথিল করা যায় সেদিকেও নজর দিয়েছে আমেরিকার সরকার। পাশাপাশি অন্যান্য দেশগুলিতে যাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা AI উপলব্ধ করা যায়, সেদিকেও নজর রয়েছে ট্রাম্পের। তবে রিপোর্ট বলছে, প্রয়োজন অনুযায়ী AI জগতে আমেরিকাকে শীর্ষে পৌঁছে দিতে অন্তত 100টি পদক্ষেপ নেবে ট্রাম্প প্রশাসন।
অবশ্যই পড়ুন: জুয়ার নেশায় BCCI-র অফিস থেকে ৬.৫২ লক্ষ টাকার IPL জার্সি চুরি! গ্রেফতার নিরাপত্তারক্ষী
ট্রাম্পের পদক্ষেপে কীভাবে লাভবান হবে ভারত?
বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, আগামী দিনে AI জগতে বিপ্লব ঘটাতে আমেরিকা ভারতের সাথে ঘনিষ্ঠতা আরও বাড়াবে। একটা সময় জো বাইডেনের শাসনকালে আমেরিকা ভারতে চিপ রপ্তানির ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ঠিকই, তবে ক্ষমতায় আসার পর গত মে মাসে সেই সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছেন ট্রাম্প। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকার নয়া পরিকল্পনার হাত ধরে আগামী দিনে চিপ সেটের পাশাপাশি ক্লাউড পরিষেবা এবং সফটওয়্যারের ক্ষেত্রেও আমেরিকার পথ ভারতের জন্য অনেকটাই প্রশস্ত হবে। যা আদতে ভারতের স্বাস্থ্যসেবা খাতে AI এর ব্যবহার বাড়াবে।
আসলে বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা বিষয়টি নির্ভর করবে ভারত-আমেরিকার সম্পর্কের ওপর। ফরচুন ইন্ডিয়ার সাথে কথোপকথনে ম্যানেজমেন্ট পরামর্শদাতা সংস্থা মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি অনুশীলনের প্রধান বেন টি স্মিথ জানিয়েছেন, আগামী দিনে আমেরিকান কোম্পানিগুলির কাছ থেকে GPU, AI অ্যাক্সিলারেটরের মতো হার্ডওয়ার পাওয়া অনেকটাই সহজ হবে ভারতের পক্ষে।