বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: সর্বগ্রাসী মনোভাবাপন্ন চিনের চালাকি বুঝে গিয়েছে পাকিস্তান! মূলত ভারতের সাথে সংঘর্ষ চলাকালীন ইসলামাবাদ ড্রাগনের যেসব যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করেছিল তার কোনওটিই টেকেনি ভারতীয় ব্রহ্মাস্ত্রগুলির সামনে।
আসলে চিনের তরফে পাওয়া একাধিক যুদ্ধবিমান, লঞ্চপ্যাড, চিনা রাডার সহ অন্যান্য ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিশ্ব দরবারে নাক কাটা গিয়েছিল পাকিস্তানের। আর এরপর থেকেই ধীরে ধীরে চিন থেকে সরে আমেরিকার সাথে সখ্যতা বাড়াচ্ছে পশ্চিমের দেশ।
চিনের কৌশল বুঝতে পেরেছে পাকিস্তান!
ভারতের সাথে সাম্প্রতিক সংঘর্ষে একেবারে নাকের জলে চোখের জলে অবস্থা হয়েছিল পাকিস্তানের। ভারতীয় বায়ু সেনার তরফে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পশ্চিমের দেশের লঞ্চপ্যাড থেকে শুরু করে বিমান ঘাঁটি! আর এর পরই পরাজয় স্বীকার করার বদলে নতুন করে কৌশল ফাঁদতে থাকে পশ্চিমের পড়শি! মূলত সেই সূত্র ধরেই সম্প্রতি মার্কিন সফর করেছিলেন পাক সেনা প্রধান আসিম মুনির!
আর সেখানেই নাকি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতে অস্ত্র সহযোগিতা বাড়ানোর আবেদন জানান মুনির। শুধু তাই নয়! সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নাকি আমেরিকায় পৌঁছেছেন পাকিস্তানের বিমান বাহিনীর প্রধান জাহির আহমেদ বাবরও। আর এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে কি চিনের সাথে সম্পর্কের গভীরতা কমিয়ে আমেরিকার সাথে বন্ধুত্ব বাড়াচ্ছে পাকিস্তান?
কেননা, গত 10 বছরে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর কোনও প্রধানই আমেরিকার সফর করেননি। কাজেই আসিম মুনিরের পর এবার পাক বায়ু সেনার প্রধান বাবরের ওয়াশিংটন সফর নিয়ে জল ঘোলা হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতি। অনেকেই বলছেন, চিনের চালাকি বুঝে গিয়েই এবার আমেরিকার শরণাপন্ন হয়েছে পাকিস্তান।
অবশ্যই পড়ুন: দুই স্ট্রাইকারকে নিয়ে মাথায় আকাশ ভাঙল ইস্টবেঙ্গলের!
আমেরিকার কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চাইছে পাকিস্তান!
বেশ কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ওয়াশিংটনে পৌঁছে আমেরিকার শীর্ষস্থানীয় সামরিক নেতাদের সাথে দেখা করেন পাকিস্তানের বায়ু সেনার জেনারেল। আর সেই সময়েই আমেরিকার সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার আমরণ চেষ্টা করেছিলেন পাক বায়ু সেনার প্রধান। জানা যায়, চিনা অস্ত্রশস্ত্রের ওপর নির্ভরতা কমাতে আমেরিকাকে সামরিক যুদ্ধাস্ত্র দেওয়ার জন্যও নাকি অনুরোধ করেছেন ওই পাক বায়ু সেনা প্রধান!
পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম বলছে, ভারতের সাথে সংঘাতে চিনের তরফে পাওয়া যুদ্ধাস্ত্রগুলি কাজে না আসায় এবার নাকি আমেরিকার F-16 যুদ্ধ বিমানে নজর রেখেছে পাকিস্তান। ওই পাক সংবাদমাধ্যম এও দাবি করছে, আমেরিকার F-16 যুদ্ধ বিমানের পাশাপাশি AIM-7 স্প্যারো ক্ষেপণাস্ত্র সহ অন্যান্য একাধিক মার্কিন যুদ্ধাস্ত্রের ওপর আগ্রহ দেখিয়েছে পাকিস্তান। কাজেই এখন দেখার, শেষ পর্যন্ত ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে চিনকে পাশ কাটিয়ে আমেরিকার সাথে কতটা গভীর সম্পর্ক তৈরি করতে পারে সন্ত্রাসবাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে পরিচিত পাকিস্তান!