সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: ফের ভারতে বড় সন্ত্রাসী হামলা বানচাল করল গুজরাটের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (Gujarat ATS Operation)। সূত্রের খবর, এই সংগঠন মোট তিনজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী দাবি করা হচ্ছে, প্রথম অভিযুক্তের কাছ থেকে মোট তিনটি পিস্তল, 30টি কার্তুজ এবং 4 লিটার ক্যাস্টর অয়েল উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কীভাবে হল এই অভিযান?
বড়সড় অভিযান এটিএস-এর
রিপোর্ট অনুযায়ী, সৈয়দ আহমেদ মহিউদ্দিন নামের হায়দ্রাবাদের বাসিন্দা, সে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িত এবং আহমেদাবাদে যাচ্ছিল। এমনকি তদন্ত করে আহমেদাবাদের উপর তার বিভিন্ন কুকীর্তিমূলক কার্যকলাপও সামনে এসেছে। খবর পাওয়া মাত্রই তদন্ত সংস্থা আদালাজের একটি টোল প্লাজের কাছ থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে ডিআইজি সুনীল জোশি জানিয়েছেন, সুদূর চিন থেকে এমবিবিএস স্নাতক ডিগ্রি করেই সৈয়দ আহমেদ মহিউদ্দিন ভারতের সন্ত্রাসী হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। তবে কার্যত বানচল হয়ে গেল।
#WATCH | Ahmedabad | Gujarat ATS DIG Sunil Joshi says, “Information was received that a person from Hyderabad, Syed Ahmed Mohiuddin, was involved in terror activities and was going to come to Ahmedabad for the same… Upon investigation, his movement was detected in Ahmedabad. He… https://t.co/7A5QsKYcc4 pic.twitter.com/Vl0fLNKh6r
— ANI (@ANI) November 9, 2025
এদিকে সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী এও জানা যাচ্ছে, তার বেশ কয়েকজন বিদেশীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। এমনকি সে আবু খাদিজা নামের একটি টেলিগ্রাম আইডির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, যারা সরাসরি ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের সঙ্গে যুক্ত। সবথেকে বড় ব্যাপার, সে রাসায়নিক বিষ বা ক্যাস্টর তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু করেছিলেন। এদিকে সে কালোল থেকে অস্ত্রের ডেলিভারি পেতে আমেদাবাদ এসেছিল।
আরও পড়ুনঃ সাইবার ফ্রড, হ্যাকিং থেকে বাঁচাবে এই App! আজই ফোনে ইনস্টল করার পরামর্শ সরকারের
গ্রেপ্তার আরও দুই সন্দেহভাজন
এদিকে ডিআইজি সুনীল জোশী বলছেন, উত্তরপ্রদেশের অন্য দুই সন্দেহভাজন গুজরাটের বনসকাঁথায় হামলার প্ল্যান করেছিল। তাদের মধ্যে একজন লক্ষীপুরের এবং অন্যজন শামলির বাসিন্দা। তাদের আসল নাম আজাদ সুলেমান শেখ এবং মোহাম্মদ সুহেল সেলিম খান। আর এই দু’জনেই ধর্মীয় শিক্ষা পেয়েছে। ডিআই জোশী বলছেন, তারাও বিদেশের লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ করত এবং ভারতের হামলার প্ল্যান করেছিল। এমনকি তারা দিল্লি, লখনউ ও আহমেদাবাদের জনাকীর্ণ এলাকাতেও তল্লাশি চালিয়েছে। পাশাপাশি কাশ্মীরেও তাদের কার্যকলাপ যুক্ত ছিল। তবে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বিষয়ে আরও তদন্ত চলছে এবং এদের সাথে আর কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, সে বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাকি দু’জনকে গতকাল আদালতে তোলা হয়েছে।