বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: চিন, পাকিস্তানের পর এবার ভারতের আরেক শত্রুকে আপন করে নিতে চলেছে বাংলাদেশ। রিপোর্ট যা বলছে, বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় শুভাকাঙ্ক্ষী তথা উপকারী বন্ধু তুরস্কের সাথে এবার ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে ইউনূসের দেশ। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং অস্ত্র উৎপাদন শিল্পকে আরও জোরদার করতে এবার ওপার বাংলার সঙ্গী হতে চলেছে তুর্কি।
শোনা যাচ্ছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব হালুক গর্গুন বর্তমানে বাংলাদেশ সফরে রয়েছেন। পদ্মা পাড়ে পৌঁছতেই প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস ও বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামানের সাথে দেখা করেন হালুক।
এ প্রসঙ্গেই বাংলাদেশের সেনাবাহিনী একটি ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছে, তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব ইতিমধ্যেই দেশের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর পরিদর্শন করেছেন। তিনি আসলে বাংলাদেশের সাথে তুরস্কের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি করতে চান। আর এই ঘটনা বাস্তবায়িত হলে তা ভারতের জন্য সত্যিই দুশ্চিন্তার হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা!
বাংলাদেশের সাথে বিরাট প্ল্যান ফাঁদছে তুরস্ক
বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব হালুক নাকি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং নারায়ণগঞ্জে প্রতিরক্ষা শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে চান। জানা যায়, ইতিমধ্যেই তুর্কি প্রতিরক্ষা শিল্প সচিবের তরফে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ। শুধু তাই নয়, তুর্কির প্রতিরক্ষা শিল্প সচিব এও বলেছেন, তুরস্কের সহযোগিতায় বাংলাদেশে তৈরি হবে আধুনিক সব অস্ত্রশস্ত্র।
যদিও এর আগে ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন অফ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী তুরস্ক সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে পৌঁছে তুর্কির একটি সামরিক কারখানা পরিদর্শন করেন তিনি। আর এরপরই বাংলাদেশের সাথে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে ও ওপার বাংলার সামরিক কারখানাগুলি পরিদর্শনের জন্য এবার ইউনূসের দেশে পা পড়ল তুরস্কের প্রতিরক্ষা শিল্প সচিবের।
অবশ্যই পড়ুন: বৃষ্টির কবলে পড়ে পিছিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ, কবে গড়াবে?
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিগত দিনগুলিতে তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ক্রমশ বেড়েছে। হাসিনা জামানার পর ফের নতুন করে ভারত বিরোধী তুর্কির সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করতে মরিয়া ইউনূস। আর সেই সূত্র ধরেই, এবার তুর্কির কাছ থেকে নানান উন্নত অস্ত্রশস্ত্র সহ বিভিন্ন উচ্চ প্রযুক্তির ড্রোন পাচ্ছে বাংলাদেশ! সে ঘটনা ভারতের জন্য যে খুব একটা শুভকর হবে না, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই।