সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: জিনিসটা দেখলে আপনি হয়তো বলবেন মশা! তবে এই ছোট্ট জিনিস এতটাই শক্তিশালী যে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের সবথেকে বিপদজনক অস্ত্র হয়ে উঠেছে। হ্যাঁ, চিনের মুকুটে এবার নয়া পালক! মশার আকারেই তৈরি হচ্ছে মাইক্রো ড্রোন (Micro Drone)! কিন্তু কী কাজ করবে এই মশা ড্রোন? কেনই বা আলোচনার শিরোনামে? চলুন একটু খতিয়ে দেখি।
কোথায় তৈরি হলো এই মশা ড্রোন?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, চিনের হুনান প্রদেশে অবস্থিত ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ডিফেন্স টেকনোলজির রোবোটিক্স ল্যাবরেটরিতে এই ড্রোন তৈরি করা হয়েছে। এমনকি গবেষক লিয়াং হেশিয়াং নিজের হাতেই এটিকে তুলে ধরে বলেছেন, এই যন্ত্র দেখতে এক্কেবারে মশার মতো! এটিকে যুদ্ধক্ষেত্রে বিরাট অভিযানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। নজরদারি, তথ্য সংগ্রহ করতে সবেতেই ভূমিকা রাখবে এই মশা ড্রোন।
কেমন দেখতে এই ড্রোন?
জানলে অবাক হবেন, এই ড্রোনের দৈর্ঘ্য মাত্র 1.3 সেন্টিমিটার। এমনকি দুই পাশে পাতার মতো পাখা রয়েছে, তিনটি চুলের মতো সরু পা’ও হয়েছে। এটি সাধারণ স্মার্টফোন দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আর ওজনও প্রায় একটি বাস্তবের মশার সমান। পাশাপাশি শব্দ নেই বললেই চলে। তবে এই ড্রোনের ক্ষমতা অপরিসীম, যা আধুনিক সেনা অভিযানে হতে পারে পুরো গেম চেঞ্জার।
বেশ কিছু সূত্র দাবি করছে, শত্রুর ঘাঁটিতে প্রবেশ করে এই মশা ড্রোন গোপনে সব তথ্য রেকর্ড করতে পারবে। এমনকি এটি এত ছোট যে, চোখেও পড়বে না। পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ বা ধ্বংস করা বাড়ির ভেতরে ঢুকে জীবিত ব্যক্তিদের সন্ধান করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ লন্ডনে বাংলাদেশ সেনা! ইউরোপ থেকে এই অস্ত্র কেনায় আগ্রহী ওপার বাংলা
থাকছে কিছু সীমাবদ্ধতাও
তবে প্রযুক্তি যে সবসময়ই ইতিবাচক ফলাফল দেবে এমনটা নয়। এই ড্রোনের কিছু সীমাবদ্ধতাও থাকছে। প্রথমত এটি এতটাই ছোট যে, বেশিক্ষণ চার্জ থাকবে না। দ্বিতীয়ত, বেশি সেন্সর বা ক্যামেরাও বহন করতে পারবে না এটি এবং বাতাস বা বৃষ্টিতে উড়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। তবে এখন দেখা যাক, ভবিষ্যতে এই ড্রোন কতটা কীর্তি ফলাতে পারে।