জট কাটল চিংড়িঘাটা মেট্রো নিয়ে? রাজ্য সরকারকে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের

chingrighata metro

সহেলি মিত্র, কলকাতা: চিংড়িঘাটা মেট্রো (Chingrighata Metro) নিয়ে সমস্যার যেন শেষই হতে চাইছে না। বারবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সহযোগিতা করছে না। এদিকে সরকার আদালতে যুক্তি দিচ্ছে রাস্তা আটকে একটানা কাজ করতে দিলে নিত্য যাত্রীদের ব্যাপক সমস্যা হবে। যাইহোক, এসবের মাঝেই এবার এই মেট্রো প্রকল্পে বড় আপডেট সামনে এল। এবার যেন আরও এক নতুন জটিলতার সৃষ্টি হল। চলুন বিশদে জেনে নেওয়া যাক ঝটপট।

চিংড়িঘাটা মেট্রো নিয়ে ফের জটিলতা

জানা গিয়েছে, চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে মেট্রোর কাজের অচলাবস্থা নিয়ে আলোচনার জন্য রাজ্য সরকার আরও সময় চেয়েছে। বুধবার মেট্রো রেলওয়ের প্রতিনিধি এবং নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো লাইনের বাস্তবায়নকারী সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (RVNL) এর কর্মকর্তাদের সাথে এক বৈঠকে, রাজ্যের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা EM বাইপাসের মূল মোড়ে প্রস্তাবিত ট্র্যাফিক ব্লকের তারিখ নির্ধারণের আগে সময় চেয়েছিলেন।

এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “ইএম বাইপাস শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ করিডোর, এবং চিংড়িঘাটা মোড়ে যেকোনো ব্লকের ফলে উভয় পাশের যান চলাচলের উপর বিশাল প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু কোনও স্পষ্ট বোঝাপড়া সম্ভব হয়নি, তাই রাজ্য সরকার আরও সময় চেয়েছে।” আসলে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা রাজ্য সরকার এবং আরভিএনএলকে চিংড়িঘাটার কাজ কখন শুরু করা যাবে তা পারস্পরিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেয়।

রাজ্যকে বিরাট নির্দেশ আদালতের

তবে এই বৈঠকেও কোনো রফাসূত্র মেলেনি। তবে এবার হাইকোর্টে বড় তথ্য দিল রাজ্য সরকার। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য সরকার জানাল, ফেব্রুয়ারিতে ওই এলাকায় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে কাজ করা যেতে পারে। অন্যদিকে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) দাবি, তিনদিন ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই কাজ শেষ করা যাবে।

শুক্রবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সুজয় পাল এবং বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ নিয়ে মামলার শুনানি হয়। মেট্রোর তরফের আইনজীবী বলেন, ‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের কোনও এক সময় ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে বলে বৈঠকে জানিয়েছে পুলিশ। মাত্র তিন দিন রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করলেই আমাদের কাজ শেষ হয়ে যাবে।’ এরপর রাজ্যের তরফে বলা হয়, “দশকের পর দশক ধরে মেট্রোর কাজ চলছে। সেক্ষেত্রে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে RVNL-এর অসুবিধা কোথায়?”

আরও পড়ুনঃ ভারত বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ! মুস্তাফিজুরকে ছেড়ে দেবে KKR?

দুই পক্ষের সওয়াল শেষে এদিন ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, জানুয়ারি মাসে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করে চিংড়িঘাটায় মেট্রোর কাজ করা সম্ভব কি না, আগামী সোমবার জানাক রাজ্য। সোমবার পরবর্তী শুনানি।  উল্লেখ্য, ৩৬৬ মিটার ব্যবধান পূরণের জন্য ৩১৭, ৩১৮ এবং ৩১৯ নম্বর পিয়ারের মধ্যে কংক্রিট ব্লক স্থাপনের জন্য আরভিএনএল যানবাহন চলাচল বন্ধের আবেদন জানিয়ে আসছে। সংস্থাটি নভেম্বরের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সপ্তাহে তিন রাতের জন্য যানবাহন চলাচল বন্ধের আবেদন করেছিল, কিন্তু তারা কখনও তা করতে পারেনি।

Leave a Comment