জন্ম থেকেই বিছানায়, বাঙ্গুর হাসপাতালের চিকিৎসায় ২৩ বছরে হাঁটতে শিখলেন তরুণী!

MR Bangur Hospital

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: জন্ম থেকেই শয্যাশায়ী। তবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসায় ঘটলো অসাধ্য সাধন। 23 বছর বয়সে পৌঁছে নিজের সাথে সাথে বহু শয্যাশায়ীকে হাঁটতে শেখালেন পল্লবী মন্ডল! দ্য ওয়ালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কলকাতার নামজাদা এক সরকারি হাসপাতালের প্রচেষ্টায় অবশেষে হাঁটতে শিখলেন জন্ম থেকে শয্যাশায়ী বিশেষভাবে সক্ষম পল্লবী।

অসাধ্য সাধকের নাম এম আর বাঙ্গুর

জানা যাচ্ছে, জন্ম থেকে বিছানায় শয্যাশায়ী ছিলেন পল্লবী মন্ডল। হাঁটা তো দূর, এর আগে কোনও দিনই মাটিতে পা দিতে পারেনি তিনি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, পল্লবী অন্তত দেড় বছর ধরে থার্ড ডিগ্রি বেডসোরে আক্রান্ত ছিলেন।

অবস্থা এমন হয়ে গিয়েছিল যে, পরিবারের সকলেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন! ভেবেছিলেন এই পর্যায়ে থেকে আর ফিরে আসা হয়তো সম্ভব নয়! তবে সেই অসাধ্য সাধন করে দেখাল কলকাতার এম আর বাঙ্গুর। হ্যাঁ, এই নামজাদা সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক দলের সহায়তায় অবশেষে নতুন জীবন পেল পল্লবী।

জানা যাচ্ছে, মেয়েকে সুস্থ করতে শহরের নানান স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের দরজায় ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছে পরিবার। তবে কোনও কিছুতেই কাজের কাজ হয়নি। তবে হঠাৎ একদিন কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে পল্লবীর পরিবারকে আশ্বাস দেওয়া হয়, তাঁর মেয়ে সুস্থ হয়ে উঠবে! 8 মাস ঘুরতে না ঘুরতেই সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

অবশ্যই পড়ুন: ‘শুল্ক আরও বাড়াব!’ ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির সপাটে প্রতিক্রিয়া ভারতের, নেওয়া হবে পদক্ষেপও?

উল্লেখ্য, পল্লবীকে নতুন জীবন খুঁজে দিতে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা একেবারে দিনরাত এক করে খেটেছেন! তাই আজ বাংলার মেয়ের সুস্থতায় তাঁদেরই প্রশংসায় মুখরিত নানা মহল!

Leave a Comment