জমি দখল করে বাবরি মসজিদ! হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কৃষক

Humayun Kabir

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বিতর্কের শিরোনামে ফের বাবরি মসজিদ! মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের জমি নিয়ে শুরু হল একাধিক বিতর্ক। এর আগে দলের বিরুদ্ধে বারবার মুখ খোলা নিয়ে নাম জড়িয়ে ছিল হুমায়ুনের। সেক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করেও লাভ হয়নি। পরিবর্তে নতুন দলগঠনের হুঙ্কার দিয়েছিলেন। এবার সেই হুমায়ুনের (Humayun Kabir) বাবরি মসজিদের জমি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করল ওই জমির আসল মালিক।

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি

আগামী ৬ ডিসেম্বর, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি। তাই সেই উপলক্ষে গান্ধীমূর্তির সামনে তৃণমূল সংহতি দিবসের ডাক দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন না হুমায়ুন কবীর। কারণ ওই একই দিনে মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করতে চলেছেন তিনি। তাই ওই দিন প্রায় লক্ষাধিক লোকের সমাগম হবে বলেও জানা গিয়েছে। কিন্তু তার আগেই ঘটল বিপত্তি। যে জায়গায় বাবরি মসজিদ হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবার সেই জায়গা ঘিরে দিলেন জমির আসল মালিক। শুধু তাই নয় হুমায়ুনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তিনি।

বাবরি মসজিদ নির্মাণের জমি নিয়ে বিতর্ক

জানা গিয়েছে, বেলডাঙার বাসিন্দা তাজিমুদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিলনের জমিতেই নাকি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করতে চলেছেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তাজিমুদ্দিন চৌধুরী পেশায় কৃষক, তাঁর মোট ৬ বিঘা জমি রয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি জানা গিয়েছে, তাঁর দাবি, ওই জমি তিনি বিক্রি করবেন না। এদিকে ওই জমিতেই গড়ে উঠতে চলেছে বাবরি মসজিদ। তাই সেখানেই প্রশ্ন উঠছে জমির মালিকের সঙ্গে কথা না বলে কীভাবে হুমায়ুন কবীর বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাই আগেভাগেই, বুধবার সকাল থেকে ওই জমিতে সীমানা দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন চাষি যাতে কেউ ওই জমিতে ঢুকতে না পারেন।

কী বলছেন জমির মালিক?

জমির মালিক তাজিমুদ্দিন চৌধুরী বলেন, “বাবরি মসজিদ একটা বিতর্কিত ইস্যু। সেই আবেগ নিয়ে কেন খেলতে চাইছেন? এটা ছ বিঘা জায়গা। এই জায়গার মালিক আমি। কাউকে জায়গা বিক্রি করিনি। এই জমি যদি কেউ তাঁর কাছে টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছি বলে, তাহলে তিনি চিটিংবাজির কথা বলেছেন। তাঁর জায়গা খোলামেলা আছে বলে সবাই ভাবে এই জায়গায় বাবরি মসজিদ হবে।” এছাড়াও তিনি আরও বলেছেন, “বাবরি মসজিদ তৈরি করার থেকে আগে মুসলমানদের খোঁজ নিক, আগে পাড়ায় যেসব মসজিদ আছে সেগুলোর উন্নয়ন করুক। আমি মসজিদ হওয়ার বিপক্ষে। সাধারণ মানুষ যাতে করে খাক সেই রকম কিছু করুক। আমরাও সাহায্য করব।”

আরও পড়ুন: বিয়ে করলেন কৌস্তভ বাগচী! মালাবদলের সময় উঠল ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান, পাত্রী কে?

উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠানের দিন ইসলাম সমাজেক ধর্মগুরুরা থাকবেন বলে জানিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। এছাড়াও মদিনা থেকে একজন ধর্মগুরু আসবেন। পাশাপাশি দিল্লি, কলকাতা, মুম্বই থেকে আসবেন অনেকে। হুমায়ুন কবীর আরও বলেছিলেন, “আমি একজন মুসলিম। চক্রান্তের শিকার বাবরি মসজিদ। আর মসজিদ লিগ্যাল জায়গায় করা হয়। আমার নিজের ধারণা বাবরি মসজিদের শিলান্যাসে ২ লক্ষ লোক থাকবেন। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, উত্তরবঙ্গ এমনকি বীরভূম থেকেও প্রচুর মানুষ আসবেন।”

Leave a Comment