সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: দীর্ঘ জলঘোলার পর এবছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার ফল (WBJEE Result) প্রকাশিত হয়েছে। হ্যাঁ, এবছর পরীক্ষায় বসে ছিল প্রায় 1 লক্ষ 1 হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী। তবে উত্তীর্ণ হয়েছে 1 লক্ষ 500 জন। মেধা তালিকায় উঠে এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের কৃতি ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল তালিকার প্রথম পাঁচ জনের মধ্যে প্রত্যেকেই রাজ্য জয়েন্টের কাউন্সেলিং-এর অপেক্ষায় না থেকে দেশের প্রথম সারির প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে পাড়ি জমিয়েছেন।
জয়েন্টে প্রথম অনিরুদ্ধ
উল্লেখ্য, এবারের জয়েন্ট পরীক্ষায় পার্ক সার্কাস ডন বসকো স্কুলের অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তবে ফল প্রকাশের আগেই জয়েন্ট অ্যাডভান্সে 348 র্যাঙ্ক পেয়ে আইআইটি খড়গপুরে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগে সে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। ফোনে অনিরুদ্ধ বলেছেন, প্রথম হব ভাবিনি, কিন্তু ভালো পরীক্ষা হয়েছিল।
দ্বিতীয় সাম্যজ্যোতি
কল্যাণী সেন্ট্রাল মডেল স্কুলের সাম্যজ্যোতি বিশ্বাস এবার রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। তবে বর্তমানে সে আইআইটি মুম্বইয়ে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে। তার মা সোমা বিশ্বাস বলেছেন, ছেলে বাড়ি থাকলে সেলিব্রেশনটা অন্যরকম হত।
তৃতীয় দিশান্ত
উল্লেখ্য, এবারের জয়েন্ট পরীক্ষায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে রুবি পার্কের দিল্লি পাবলিক স্কুলের দিশান্ত বসু। বাঁশদ্রোণীর এই ছাত্র ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউটস অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে প্রথম হয়ে বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সে পদার্থবিদ্যা নিয়ে ভর্তি হয়ে গিয়েছে। তারও স্বপ্ন গবেষক হওয়ায়।
চতুর্থ হয়েছে অরিত্র
এদিকে দিশান্তের সহপাঠী অরিত্র রায় রাজ্যের জয়েন্ট পরীক্ষায় চতুর্থ স্থান অধিকার করেছে। তাঁর পরিবার চেয়েছিল, সে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুক। তবে ওবিসি নিয়ে জটিলতার কারণে সে ভর্তি হয়েছে আইআইটি মুম্বইয়ের কম্পিউটার সায়েন্সে। অরিত্রের মা মহুয়া মিত্র বলেছে, আমি আর অরিত্রর বাবা দুজনেই যাদবপুরে পড়েছি। চাইছিলাম অরিত্রও সেখানে পড়ুক। তবে তা আর হল না।
পঞ্চম তৃষাণজিৎ
এদিকে পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের পূর্ব ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র তৃষানজিৎ দোলই রাজ্যে পঞ্চম আসন অধিকার করেছে। ইতিমধ্যেই সে মুম্বই আইআইটিতে ফিজিক্সে বি-টেক শুরু করে দিয়েছে। তাঁরও লক্ষ্য বিদেশে গবেষণা।
শুরু হবে কাউন্সিলিং প্রক্রিয়া
উল্লেখ্য, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর জয়েন্টের ফল প্রকাশ করা সম্ভব হয়েছে। আগামী 28 আগস্ট থেকেই শুরু হবে কাউন্সিলিং, যা চলবে 11 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে মোট 100টির বেশি প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়ারা ভর্তির সুযোগ পাবে।
জানিয়ে রাখি, জয়েন্ট বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবছর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্কুলগুলির 50 শতাংশের বেশি পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। আর মেয়েদের মধ্যে সাফল্যের হার ছেলেদের চেয়ে অনেকটাই বেশি। হ্যাঁ, প্রায় 98.68 শতাংশ।