বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: যুদ্ধ বিধ্বস্ত মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত পিছু হটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা। সেই মর্মেই, বৃহস্পতিবার একটি বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
আল জাজিরার রিপোর্ট অনুযায়ী, বৃহস্পতিবারই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপের উপর থেকে বিধিনিষেধ তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জান্তা। সেই সাথেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে চলতি বছরের নির্বাচন। তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়, অন্যান্য দায়িত্বের পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্বেই থাকছেন জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং।
ঘোষিত নির্বাচনের দিনক্ষণ!
জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের পাশাপাশি ইতিমধ্যেই মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন ঘোষণা করেছে মিন অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন জান্তা দল। মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই আয়োজিত হতে চলেছে নির্বাচন। আর সেই পরিকল্পিত জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার মিয়ানমার সেনার সিদ্ধান্তে ক্ষমতা হাতে পেলে বেসামরিক অন্তর্বর্তী সরকার।
তৈরি হয়েছে কমিশন
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, 2011 সালের অভ্যুত্থানের পর সেনাবাহিনীর হাতে যে ফরমানের মাধ্যমে ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে। একই সাথে, গড়ে তোলা হয়েছে একটি তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন। শুধু তাই নয়, আসন্ন নির্বাচন তত্ত্বাবধানের জন্য গড়ে উঠেছে একটি বিশেষ কমিশনও।
অবশ্যই পড়ুন: হারের মুখে টেস্ট সিরিজ! তাও কেন ওভালে খেলছেন না বুমরাহ? কারণ জানালেন কোচ
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মিয়ানমারের তিন বিরোধী গোষ্ঠী ‘থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স গড়ে তুলে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। যার নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন 1027। ফলত, সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির ধারাবাহিক অভিযানের কারণে শেষ পর্যন্ত দেশের বড় অংশের ক্ষমতা হাতছাড়া হল জান্তার।
সেই সাথে চাপের মুখে পড়ে নির্বাচন ঘোষণা করলেন হ্লাইং। যদিও এ প্রসঙ্গে মিয়ানমার বিষয়ক স্বাধীন বিশ্লেষক ডেভিড ম্যাথিসন জানিয়েছেন, ক্ষমতায় যে বদল করা হয়েছে তা লোকদেখানো। পরিবর্তন দেখালেও ক্ষমতায় যাঁরা রয়েছেন তারা আগের মতোই অত্যাচার এবং দমনমূলক আচরণ অব্যাহত রাখবেন।