সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: সবে একটু আশার আলো দেখা দিয়েছিল। কয়েকদিন শুকনো আবহাওয়ার জেরে ধীরে ধীরে ঘাটালের মানুষজন বন্যা পরিস্থিতি (Ghatal Flood) সামাল দিচ্ছিল। হ্যাঁ, জল একটু একটু করে সরছিল। তবে সেই স্বস্তি বেশিদিন টিকল না। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আবারও ডুবে গেল ঘাটাল মহকুমা। বিশেষ করে চন্দ্রকোনা 1 ও 2 নম্বর ব্লকের কিছু জমি তলিয়ে গিয়েছে নদীর জলে।
জলের তলায় ধানক্ষেত
স্থানীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীর জল ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে গ্রামে প্রবেশ করছে। এর ফলে বিঘের পর বিঘে ধানের জমি ডুবে গিয়েছে। কৃষকরা দাবি করছে, এবছর ইতিমধ্যেই তাদের পাঁচবার বন্যার ধাক্কা সামলাতে হয়েছে। বারবার ফসল ডুবে যাওয়ার কারণে ধানগাছ নষ্ট হবে বলেই আশঙ্কা করছে তারা। উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগে বন্যায় শাকসবজি সহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট হয়েছে। আর এবার ধানের ক্ষতি তাদের মাথায় বড়সড় চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
কৃষকরা জানাচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে একই চিত্র দেখা গেলেও সঠিকভাবে তাঁরা ক্ষতিপূরণ পান না। আর এ বছর সেই আতঙ্ক আরো চরম বিপাকে ফেলেছে। পুজোর আগে পরপর বন্যা তাদের জীবন অনিশ্চয়তার দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় বন্যার ভেঙে যাওয়া বাঁধ এখনো পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। ফলে নদীর জল বাড়াতে সেই ভাঙ্গা বাঁধ দিয়ে গ্রামগঞ্জে হু হু করে জল ঢুকতে শুরু করেছে। চন্দ্রকোনা, যাদবপুর, হালদারবেড়, আটঘড়া, শ্রীরামপুর, পালংপুর সব জায়গাতেই চরম ভোগান্তি। এলাকাবাসী দাবি করছে, খুব দ্রুত ভাঙ্গা বাঁধ মেরামত না করা হলে আগামী দিনে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ নন্দীগ্রামে সমবায় নির্বাচনে ১২-০ ব্যবধানে জয়লাভ বিজেপির, ভরাডুবি তৃণমূলে
এমনকি ইতিমধ্যে আবহাওয়া দপ্তর আবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক আরো বাড়ছে। ইতিমধ্যেই শিলাবতীর জল বিপদসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থা। যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরো খারাপ আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছে বাসিন্দারা। শুধু দেখার আগামীদিন কী হয়।