প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: বাংলায় শিল্পবিপ্লব ঘটাতে এবার একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! আর সেই সূত্রে এবার রাজ্য সরকার মাত্র ১ টাকায় জমি প্রদান করতে চলেছে। কলকাতাসহ গোটা রাজ্যকে ঢেলে সাজাতে গত বছরের শেষের দিকে একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার সেই পরিকল্পনাগুলিই একে একে বাস্তবে পরিণত হওয়ার পালা।
‘শিল্পান্ন’-র উদ্বোধনে মমতা
২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর থেকেই রাজ্যে শিল্প ও কর্মসংস্থানকে যেন পাখির চোখ করে তুলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাইতো প্রতি বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে শিল্পপতিদের ভিড় লেগেই থাকে। আর সেই একাধিক শিল্প পরিকল্পনার একটা অংশের গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার বাস্তবায়ন ঘটল আরও একবার। এদিন আলিপুরে চর্ম ও কুটির শিল্পকেন্দ্র ‘শিল্পান্ন’-র উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দিনেই শিল্প নিয়ে আরও বড় ঘোষণা করলেন তিনি।
উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আলিপুরের এই ‘শিল্পান্ন’-তে শাড়ি এবং চামড়ার জিনিসের দোকান থাকবে। সব মিলিয়ে এখানে থাকবে ৪৬টি স্টল। কীভাবে এই ‘শিল্পান্ন’র ভাবনা এসেছিল, তা নিজেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি রাস্তায় যেতে যেতে তাকিয়ে থাকি। কোথায় আমাদের জমি খালি পড়ে আছে। কী করা যায়। সেইভাবেই ‘শিল্পান্ন’র ভাবনা এসেছিল।”
চিড়িয়াখানার বিপরীতে শপিং মল!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানান যে, “চর্মশিল্পে বাংলা ভারতে এক নম্বরে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পেও এক নম্বরে বাংলা। রাজ্যে ৬৬০টি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ক্লাস্টার তৈরি হয়েছে। বাইরে যে ব্যাগ ৩০-৪০ হাজার টাকায় কিনতে হয়, এখানে সেটাই তিন হাজার টাকায় পেয়ে যাবেন।”
এদিন আলিপুর চিড়িয়াখানার বিপরীতে শপিং মল খোলার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, “জেলার হেডকোয়ার্টারে শপিং মল করছি। এবার এক টাকায় জমি দেব।” তবে সেক্ষেত্রে তিনি শর্ত বেঁধে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেড়েই চলেছে অনলাইনে জালিয়াতির পরিমাণ! জারি হল ৫ দফা নির্দেশিকা
শর্ত বেঁধে দিলেন মমতা
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন যে, “ জমি কিনে শপিং মল তৈরি করবে তাদের জন্য একটাই শর্ত দুটো ফ্লোর আমার চাই। এছাড়া বাকি জায়গায় আপনারা সিনেমাহল, কফি হাউস বানাতে পারেন।” এছাড়াও তিনি আরও জানিয়েছেন যে, “শপিং মল আপনারা ছ’তলা, সাততলা বা আটতলা যত বড়ই বানান, দুটো ফ্লোর আমার চাই আমার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদের জন্য।” এক্ষেত্রে শুধু রাজ্যের উন্নয়ন হবে তা নয় পাশাপাশি কর্মসংস্থানও হবে।