সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বহুদিন যাবৎ শ্রীঘরে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan Killed News)। তবে সম্প্রতি শোনা যাচ্ছে, ইমরান খানকে নাকি কারাগারের ভিতরে হত্যা করা হয়েছে। হ্যাঁ, সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সমস্ত দাবি নিয়ে এখন তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। মিনিস্ট্রি অফ ফরেন অ্যাফেয়ার্স অফ বেলুচিস্তান নামের এক অ্যাকাউন্ট থেকে দাবি করা হচ্ছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের নির্দেশে ইমরান খানকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তবে আদৌ এই বক্তব্যের সত্যতা কতটা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইমরান খানের মৃত্যুর খবর
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল থেকেই আদিয়ালা জেল সংলগ্ন এলাকায় ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই সমস্ত ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, ইমরান খানের বোন এবং নিকট আত্মীয়রা জেলের ভিতরে ঢোকার অনুমতি পায়নি। আর এই ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন করে আবারও সন্দেহ তৈরি হয়েছে যে, কোনও অঘটন ঘটেছে হয়তো! এদিকে বেলুচিস্তানের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, পাঞ্জাবের জেলগুলির ভিতর থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে যে ইমরান খানকে সেনাপ্রধান আসিম মুনির এবং আইএসআই হত্যা করেছে। যদি এটি সত্যি প্রমাণিত হয়, তাহলে পাকিস্তানের শেষ অবশিষ্ট বৈধতার পতন ঘটবে। কিন্তু এই অ্যাকাউন্ট বা তাদের দাবি, কোনওটারই সত্যতা যাচাই করা হয়নি।
বলাবাহুল্য, ২০২৩ সালের আগস্ট মাস থেকে জেলে বন্দি হয়েছেন পাকিস্তানের পিটিআই প্রধান ইমরান খান। তার সাথে গত কয়েক মাস ধরে পরিবারের সদস্যদের কাউকে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি পিটিআইয়ের অভিযোগ, সেনাবাহিনীর নির্দেশে এই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার তার তিন বোন নোরিন খান, আলিমা খান ও উজমা খান জেলে দেখা করতে গেলেও পুলিশ নাকি তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছিল বলে খবর। এমনকি উপস্থিত পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তিও হয়।
আরও পড়ুনঃ বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে দ্বিতীয় স্থানে বাংলা! কেন্দ্রের রিপোর্ট তুলে ধরলেন মমতা
উল্লেখ্য, খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোহেল আফ্রিদিও নাকি টানা সাতবার ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে অনুমতি পাননি। তিনি অভিযোগ করছেন, জেল কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীর চাপে কাজ করছে। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি। আর পাকিস্তানের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিও এই খবরের কোনও সত্যতা যাচাই করেনি। কিন্তু ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর আশঙ্কাও আপাতত উড়িয়ে যাওয়া যাচ্ছে না।