সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা জেলে বসেই নাকি দিব্যি ফোন করছেন এবং নিজের কাজ চালাচ্ছেন! এমনই এক ভাইরাল অডিও ফাঁস করলেন বিজেপি নেতা তথা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি (Tarunjyoti Tewari on Jiban Krishna Saha)। সেই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই বলছেন জেলে বেশ ভালোই রয়েছেন তিনি। এমনকি সেখানে থেকেই তিনি কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভাইরাল জীবনকৃষ্ণ সাহার কল রেকর্ড
সম্প্রতি এক্স হ্যান্ডেলে তরুণজ্যোতি একটি ভাইরাল কল রেকর্ড পোস্ট করেছেন। আর সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘এই কল রেকর্ড গতকাল থেকেই ভাইরাল। জেলে বসে দিব্যি ফোনে নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জীবনকৃষ্ণ সাহা। পশ্চিমবঙ্গের জেলে তিনি ভালই রয়েছেন। সেখানে বসে তিনি কাজ চালাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের ক্ষেত্রেও তার অবদান রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। ইডি-কে অনুরোধ করব বিষয়টাকে পুরো দেখার জন্য। কোন অ্যাকাউন্টে টাকা নিচ্ছে সেটাও কিন্তু অনেকের কাছেই রয়েছে। প্রয়োজন হলে দেওয়াও যাবে।’ যদিও ওই ভাইরাল অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করা হয়নি ইন্ডিয়া হুডের তরফ থেকে।
এই call record ও গতকাল থেকে ভাইরাল।
জেলে বসেও ফোনে নিজের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জীবনকৃষ্ণ সাহা।
পশ্চিমবঙ্গের জেলে তিনি বেশ ভালই আছেন এবং সেখানে বসেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। WBSSC এর ক্ষেত্রেও তার অবদান আছে বলে শোনা যাচ্ছে। ED কে অনুরোধ করবো পুরো বিষয়টা দেখার জন্য। কোন একাউন্টে টাকা… pic.twitter.com/5YDcZBunNN
— Tarunjyoti Tewari (@tjt4002) November 16, 2025
বলে রাখি, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। মুর্শিদাবাদের কান্দি গ্রামে তার বাড়ি ঘিরে সেই সময় ইডি তল্লাশি চালিয়েছিল। কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের দেখে পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। কিন্তু ধরা পড়ার আগে নিজের মোবাইল ফোন তিনি পুকুরের জলে ফেলে দেন বলেই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের।
আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেবেন নীতিশ কুমার, বিহারে শপথ গ্রহণের তারিখ হল চূড়ান্ত
সবথেকে বড় ব্যাপার, সেবার প্রথম নয়। ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে সিবিআই যখন তার বাড়িতে হানা দিয়েছিল, তখনও তিনি দুটি মোবাইল ফোন পাশের পুকুরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। সেই সময় ডুবুরি নামিয়ে ফোনগুলিকে উদ্ধার করা হলেও বিশেষ কোনও তথ্য মেলেনি। তবে দীর্ঘ ১৩ মাস জেলে থাকার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। আদালত তদন্তে সহযোগিতারও নির্দেশ দিয়েছিল। তবে চলতি বছরে ফের তাকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করেছিল ইডি। আর সেখান থেকেই জেলে রয়েছেন তিনি।