প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সাত সকালে বাসন্তী হাইওয়েতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা! গাড়িতে ট্রাকের ধাক্কায় মারা গেলেন শেখ শাহজাহান (Seikh Sahajahan) মামলার অন্যতম বড় সাক্ষী ভোলা ঘোষের ছেলে ও গাড়ির চালক। আর তাতেই দুর্ঘটনায় মৃত্যু নিয়ে বাড়ছে রহস্য। সূত্রের খবর মূল ব্যবসায়ী ভোলা ঘোষ-এর অবস্থা আশঙ্কজনক প্রথমে তাকে প্রথমে মিনাখাঁ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা গুরুতর থাকায় কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এদিকে এই দুর্ঘটনা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে শেখ শাহজাহান তাঁর সাক্ষীকে জেলা বসে পরিকল্পনা করে খুনের চেষ্টা করেছে কি না।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় মৃত্যু সাক্ষীর ছেলের
সূত্রের খবর, আজ অর্থাৎ বুধবার শেখ শাহজাহানের মামলার অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষ তাঁর ছোট ছেলেকে নিয়ে বসিরহাট আদালতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু সেই সময় ঘটে যায় ভয়ংকর দুর্ঘটনা। বাসন্তী হাইওয়েতে ট্রাকের সঙ্গে তাঁদের গাড়ির সংঘর্ষের জেরে বড় দুর্ঘটনা ঘটে। রাস্তার ধার থেকে গাড়ি উল্টে নয়ানজুলিতে গিয়ে পড়ে। আর তাতেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছোট ছেলে সত্যজিৎ ঘোষ ও গাড়ির চালকের। তবে স্থানীয়দের সহাতায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভোলা ঘোষকে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সাধারণ চোখে এটা নিছকই দুর্ঘটনা মনে হলেও এর পিছনেও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলে দাবি তুলেছে ভোলানাথের পরিবার। আর তাতে উঠে আসছে বিস্ফোরক তথ্য!
শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ
এদিন অসুস্থ অবস্থায় ভোলা ঘোষ দাবি করেন, বয়ারমারি থেকে গাড়ি কিছুটা এগোতেই কলুপাড়ার আগে একটা ট্রাক হঠাৎ এসে গাড়িতে ধাক্কা মারে। গাড়ি উল্টে জলে পড়ে যায়। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁদের গাড়ি থেকে বের করা হয়। কিন্তু তিনি এই ঘটনায় কাউকে সন্দেহের বশে মিথ্যা অপবাদ দিতে চাইছেন না। এদিকে ভোলানাথের বড় ছেলে বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, ‘বাবা, ভাইয়ের কোর্টে যাওয়ার কথা ছিল। শেখ শাহজাহানের ঘটনার সাক্ষী ছিল আমার বাবা। কোর্টে আজ শুনানির দিন ছিল, সেই গাড়িতে তাই চক্রান্ত করে মেরেছে।” ছেলের আরও অভিযোগ, “শাহজাহান শেখেরই কথায় মোসলেম শেখ, সবিতা রায় চক্রান্ত করে এই কাজ করেছে। এর আগেও শাহজাহান শেখের লোকেরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয়।’
আরও পড়ুন: ‘মুসলমানরা ভয় পাচ্ছে, হিন্দু হচ্ছে বোকা!’ নতুন গান বাঁধলেন দেবাংশু
ভোলা ঘোষের বড় ছেলের করা অভিযোগে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সন্দেশখালি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সবিতা রায়। তাঁর দাবি, ‘একটা দুর্ঘটনার কেস, আমাকে দোষ দেওয়া হচ্ছে কেন? রাস্তায় একটা অ্যাক্সিডেন্ট হলে তার দায়ভার আমি নেব? আমাকে কালিমা ছেটানোর অর্থ কী? একজন নাম করে এ ভাবে আমার নামে অভিযোগ তুলতে পারে? সত্যজিৎ আমার কোলেপিঠে বড় হয়েছে। এই কথা শুনতে খারাপ লাগছে।’ যদিও পুলিশ জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। লিখিত অভিযোগ না এলে স্বতঃপ্রণোাদিত মামলা দায়ের করার কথাও জানিয়েছে তারা।