প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মদ্যপ অবস্থায় বধূকে ‘শ্লীলতাহানি’ এক তৃণমূল নেতার! চলন্ত টোটোর ভিতর গোঘাটের (Goghat) তৃণমূল নেতার এই অশালীন আচরণে প্রতিবাদের পথে নামল গোটা গ্রামবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গোঘাট-২ ব্লক এলাকায়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। অন্যদিকে এই ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি।
ঠিক কী ঘটেছে?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগের গোঘাট ২ পঞ্চায়েত এলাকার মান্দারণ গ্রামের এক মহিলা সন্ধ্যে নাগাদ টোটোয় ফিরছিলেন। সেই সময় ওই একই টোটোয় ওঠেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সামিনা বেগমের স্বামী কাজি আবদুল মনির। অভিযোগ, সেই সময় তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এবং চলন্ত টোটোতেই ওই বধূর শ্লীলতাহানি করেন। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ। কোনওরকমে সেই ভয়ংকর পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানান মহিলা। আর তাতেই ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ঝড় ওঠে।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী
টোটোয় বধূর সঙ্গে তৃণমূল নেতার এই অভব্য আচরণের খবর গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই গতকাল অর্থাৎ রবিবার, রাতে বিক্ষোভ মিছিলে নামেন গ্রামের একাংশ। রাত যত বাড়তে থাকে পরিস্থিতি ততই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, তাঁদের একটাই দাবি শীঘ্রই তৃণমূল নেতা আবদুল মনির গ্রেপ্তার করা হোক। মায়ের সম্মানের লড়াইয়ে প্রতিবাদে নামে ছেলেও। নির্যাতিতার ছেলের অভিযোগ, “মা বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় ওই তৃণমূল নেতা মার শ্লীলতাহানি করে। ওকে গ্রেপ্তার করা হোক।” এই ঘটনার প্রতিবাদে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে সেখানকার স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: নজরে রাঘব বোয়াল! বালি পাচার মামলায় কলকাতা, ঝাড়গ্রাম সহ একাধিক জায়গায় হানা ED-র
উল্লেখ্য, গোঘাটার স্থানীয় তৃণমূল নেতার এই অশালীন আচরণ নিয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়েছে, “এটাই তৃণমূল। এটাই ওদের সংস্কৃতি। রাজ্যের মহিলা সুরক্ষিত নন।” তবে স্বামীর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির সামিনা বেগম। তাঁর দাবি সিপিএম, বিজেপি মিলে চক্রান্ত করে তাঁর স্বামীকে ফাঁসাতে চাইছে। অন্যদিকে গোঘাট ২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি সৌমেন দিগার বলেন, “আমি সংবাদমাধ্যম থেকেই বিষয়টি জানতে পেরিছি। পুলিশ তদন্তে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তাঁকে ছাড়া হবে না।”