প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন, আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখেই রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে একের পর এক জরুরি এবং উন্নতমূলক ব্যবস্থা নিয়েই চলেছে সরকার। আর এবার বাংলার রাস্তায় চলাফেরা করা লাখো লাখো টোটোচালকের জন্য আসতে চলেছে বড় স্বস্তির খবর ৷ টোটোর নিবন্ধীকরণের সময়সীমা আরও বাড়াতে (Toto Registration Deadline) চলেছে পরিবহণ দফতর । শুধু তাই নয় ভবিষ্যতে রাজ্যে টোটো চালকদের জীবিকা নির্বাহ করতে যাতে জন্য সমস্যার মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য বড় স্বস্তির বার্তা দিল সরকার।
টোটোর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্যের জেলায় জেলায় দিন দিন বেড়ে চলেছে অবৈধ টোটোর সংখ্যা। ফলে যানজট তৈরী হচ্ছে শহরে। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি ভাবে তৈরী হচ্ছে টোটো তাই রাজ্যে বেআইনি টোটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে গত অক্টোবরে রেজিস্ট্রেশনের নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর। ওই লক্ষ্যে নির্দিষ্ট টিটিইএন পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। আশা করা হয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, বীরভূম, বাঁকুড়া, মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই দিনাজপুরের মতো বিভিন্ন জেলা এবং জেলার শহর এলাকা ধরে অন্তত ১০ লক্ষ টোটো নতুন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি খাতায় নথিভুক্ত করা যাবে।
বাড়ানো হতে পারে সময়সীমা
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী প্রথমে টোটো রেজিস্ট্রেশনের জন্য ডেডলাইন রাখা হয়েছিল ৩০ নভেম্বর। বলা হয়েছিল এরপর যে সমস্ত টোটো রেজিস্ট্রেশন থাকবে না সেগুলি বাতিল হয়ে যাবে। কিন্তু পরে দেখা যায় টোটো রেজিস্ট্রেশনের সংখ্যা অনেকটাই কম। তাই বাধ্য হয়ে শেষে এই রেজিস্ট্রেশনের ডেডলাইন বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে টোটো চালকদের সুবিধার্থে এবারেও হয়তো সেই সময়সীমা বাড়বে, এমনই ইঙ্গিত করছে রাজ্য সরকার। পরিবহন মন্ত্রী জানিয়েছেন যে, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৯০ হাজার টোটোর নথিভুক্তকরণ হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে রাজ্য সরকার তাড়াহুড়ো করার পক্ষপাতী নয়। তাই দফতর সূত্রের খবর, এ নিয়ে শীঘ্র সময়সীমা বৃদ্ধির নির্দেশ জারি হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: ‘রাজ্য সরকারের কমিটির তদন্তের ক্ষমতা নেই!’ যুবভারতী কাণ্ডে হাইকোর্টে দায়ের জোড়া মামলা
প্রসঙ্গত, গতকাল অর্থাৎ রবিবার নিউ টাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে মোটর ভেহিকল এনফোর্সমেন্ট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ৬২তম সাধারণ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘টোটোর সঙ্গে গরিব সাধারণ মানুষের জীবিকার প্রশ্ন জড়িয়ে রয়েছে। তাই এ নিয়ে জোরাজুরি করে এমন কিছু করা হবে না, যাতে তাঁদের জীবিকার ক্ষতি হয়। আবার এমন পদক্ষেপও নিতে হবে যেখানে সাধারণ মানুষদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা তৈরি না হয়।’’