বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: ভারতের মতো দেশ, যেখানে খেলাধুলাকে সম্মানের চোখে দেখা হয়, সেই দেশেরই ট্রেনের সাধারণ কামরার শৌচাগারের সামনে বসে জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন একদল কুস্তিগির। ভাবা যায়! অবাক লাগলেও এমন দৃশ্যই এখন দেখতে হচ্ছে নেট নাগরিকদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিও (Viral Video) দেখাচ্ছে, স্কুল পর্যায়ে জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে উত্তরপ্রদেশ যাচ্ছেন ওড়িশার কুস্তিগিররা। যা নতুন করে জন্ম দিয়েছে বিতর্কের।
কেন এমন দুর্ভোগ পোহাতে হল কুস্তিগিরদের?
খোঁজ নিয়ে জানা গেল, স্কুল পর্যায়ের 69তম জাতীয় কুস্তি প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ওড়িশা থেকে উত্তরপ্রদেশে পৌঁছয় 18 জন কুস্তিগিরের একটি দল। তাদের মধ্যে 10 জন ছেলে এবং 8 জন মেয়ে কুস্তিগির ছিলেন। জানা যায়, স্কুল পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য এই কুস্তিগিরদের যাতায়াতের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ছিল সে রাজ্যের স্কুল এবং গণশিক্ষা দপ্তর। তাদের কাজে ব্যর্থতার কারণেই ট্রেনের শৌচাগারের পাশে বসে গন্তব্যে পৌঁছতে হয়েছে কুস্তিগিরদের।
বেশ কয়েকটি সূত্র মারফত খবর, প্রবল ঠান্ডা মধ্যে ওড়িশা থেকে ট্রেনের সাধারণ কামরার শৌচাগারের পাশে কোনমতে জড়োসড়ো হয়ে বসে উত্তরপ্রদেশের প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর ঠিক একইভাবে নিজ রাজ্যে ফেরেন কুস্তিগিররা। যেই দৃশ্য ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে নেট দুনিয়ায়। যা দেখার পর একেবারে রেগে লাল নেট নাগরিকরা। যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করিনি আমরা।
The visuals of 18 young Odisha wrestlers being forced to sit near train toilets in biting cold are a national embarrassment. These athletes were travelling to Uttar Pradesh to represent our state in the national school wrestling championship.
This is the true face of the BJP… pic.twitter.com/unrzPn8uds
— Navajyoti Patnaik (@NavjyotiPatnaik) December 23, 2025
অবশ্যই পড়ুন: বড়দিন মিটতেই জাঁকিয়ে শীত! কুয়াশার সতকর্তা দক্ষিণবঙ্গে, আগামীকালের আবহাওয়া
ভিডিওটি দেখার পর নেট নাগরিকদের মধ্যে বেশিরভাগেরই প্রশ্ন, জাতীয় পর্যায়ে অংশ নিতে যাওয়া প্লেয়ারদের কেন এভাবে ট্রেনের সাধারণ কামড়ায় শৌচাগারের পাশে বসে গন্তব্যে পৌঁছতে হবে? এ নিয়ে অনেকেই ওড়িশা সরকার এবং শিক্ষা দপ্তরকে দায়ী করেছেন। কারও দাবি, কুস্তিগিরদের ট্রেনের টিকিটের ব্যবস্থা করে দিতে না পারলে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বলারও কোন অধিকার নেই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। সব মিলিয়ে, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে একেবারে তোলপাড় নেট দুনিয়া। যদিও এই বিতর্কের মুখে শিক্ষা দপ্তর জানিয়েছে, 18 জন কুস্তিগিরের প্রত্যেকের জন্যই টিকিট কাটা হয়েছিল। তবে এদের মধ্যে মাত্র 4 জনের টিকিট কনফার্ম হয়।