সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: পরিবেশ রক্ষার্থে এবার এক বিরাট পদক্ষেপ নিলে ভারতীয় রেল (India Railways)। প্রথমবারের মতো রেললাইনের মাঝেই এবার সোলার প্যানেল বসানো হল। হ্যাঁ, উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর বেনারস লোকোমোটিভ ওয়ার্কস এই অভিনব প্রকল্প চালু করেছে। উল্লেখ্য, সোমবার রেল মন্ত্রক নিজের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলই এই খবর জানিয়েছে।
কীভাবে কাজ করবে এই সোলার ট্র্যাক সিস্টেম?
সম্প্রতি রেল মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে 70 মিটার রেল লাইনের মাঝে 28টি সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। এর মোট ক্ষমতা প্রায় 15 কিলোওয়াট-পিক। জানা যাচ্ছে, এই সোলার প্যানেলগুলি অপসারণও করা যাবে। অর্থাৎ, ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণ কিংবা মেরামতের প্রয়োজন হলে খুব সহজেই এগুলিকে সরিয়ে ফেলা যাবে।
প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, যদি এই মডেল বড় আকারে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে প্রতি কিলোমিটারে বছরে প্রায় 3.21 লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব। আর এই বিদ্যুৎ স্টেশন পরিচালনা থেকে শুরু করে সিগন্যালিং সিস্টেমের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
🚆 Indian Railways marks a historic first!
Banaras Locomotive Works, Varanasi commissioned India’s first 70m removable solar panel system (28 panels, 15KWp) between railway tracks—a step towards green and sustainable rail transport. pic.twitter.com/BCm2GTjk7O— Ministry of Railways (@RailMinIndia) August 18, 2025
এদিকে ভারতীয় রেল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছে যে, 2030 সালের মধ্যেই কার্বন নির্গমন শূন্যে আনবে। আর সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে গত কয়েক বছরে বিভিন্ন স্টেশন এবং ট্র্যাকে সোলার প্যানেল বসানোর কাজ চলেছে। পাশাপাশি বড় মাপে নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পে বিনিয়োগের পথেও পা বাড়িয়েছে রেল।
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প?
প্রসঙ্গত, ভারতীয় রেলে দেশের সবথেকে বেশি বিদ্যুৎ ও ডিজেল দরলার পড়ে। তবে যদি ট্র্যাকের মাঝে অপ্রয়োজনীয় খালি জায়গা ব্যবহার করেই সোলার প্যানেল বসানো যায়, তাহলে একদিকে যেমন খরচ অনেকটাই কমবে, অন্যদিকে কার্বন নির্গমন অনেকটাই হ্রাস পাবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
আরও পড়ুনঃ শাস্ত্রীর পর ফের একসাথে মিঠুন-দেবশ্রী, বিরাট উদ্যোগ জি বাংলার
প্রসঙ্গত জেনে রাখা ভালো, বারাণসীর এই প্রকল্প সম্পূর্ণভাবে স্থানীয় ইঞ্জিনিয়ারদের উদ্যোগেই তৈরি করা হয়েছে। আর রেল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, গোটা রেল নেটওয়ার্কে এই মডেল ছড়িয়ে দেওয়া গেলে নবীকরণযোগ্য শক্তি খাতে এক নয়া ইতিহাস রচিত হবে এবং পরিবেশ দূষণের সংজ্ঞা বদলে যাবে।