সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: বিহারের সমস্তিপুরে ঘটল এক আজব ঘটনা। হ্যাঁ, সরকারি আরটিপিএস পোর্টালে এবার জমা পড়ল আবাসিক সনদের (Residential Certificate) আবেদন, তাও কিনা আবেদনকারীর নাম স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জন ট্রাম্প (Donald Trump)! মানে ভাবতে পারছেন?
কী ছিল ওই আবেদনে?
গত 29 জুলাই জমা দেওয়া ওই আবেদনে আবেদনকারীর পিতার নাম লেখা ছিল ফ্রেডেরিক ক্রাইস্ট ট্রাম্প। পাশাপাশি ঠিকানা ছিল হাসানপুর, ওয়ার্ড 13, বাকরপুর পোস্ট, মহিউদ্দিন নগর ব্লক, সামস্তিপুর। অবাক করার বিষয় হল, ওই আবেদনের সঙ্গে যুক্ত ছিল আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবি আর জাল আধার কার্ড।
এই তথ্য সামনে আসতেই মহিউদ্দিন নগরের রাজস্ব অধিকারিক খতিয়ে দেখেন যে, ছবিতে ও বারকোডে স্পষ্ট কারচুপি। ব্যক্তিগত তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবেই বদলানো হয়েছে। পাশাপাশি সমস্ত প্রমাণপত্র ভুয়ো। ফলত জাল ডকুমেন্ট ব্যবহার করায় ৪ আগস্ট ওই আবেদন সরাসরি বাতিল করে দেন তিনি।
Reality of SIR in Bihar. US President Donald J. Trump is now a resident of Bihar. Great work @ECISVEEP 🫡 pic.twitter.com/427HW343wQ
— Saradsree Ghosh (@TheSavvySapien) August 6, 2025
দিনের পর দিন বাড়ছে ভুয়ো আবেদন
বিহারের নির্বাচন কমিশনের ভোটার কার্ড যাচাই প্রক্রিয়ায় আবাসিক সনদ বাধ্যতামূলক হওয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে এই সনদের জন্য আবেদনপত্র জমা দেওয়ার হার বেড়েছে। তবে প্রশাসন বলছে যে, এর সুযোগ নিয়ে জাল নথি দিয়ে আবেদন দিনের পর দিন বাড়ছে। জেলার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এটি বিহারের ডিজিটাল শাসন ব্যবস্থা ভাঙ্গার চেষ্টা। এমনকি চলতি ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়াকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র। এই ঘটনার পর সমস্তিপুর সাইবার থানায় BNS-এর 318(4) ও 336(4) ধারা অনুযায়ী মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ‘সিরিয়াস ইনজুরি, ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত!’ কেমন আছেন অভয়ার মা? জানালেন চিকিৎসক
‘ডগ বাবু’ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প
উল্লেখ্য, গত মাসেই পাটনার মাসৌরহি সার্কেলের অফিসের ‘ডগ বাবু’ নামে এক আবাসিক সনদের আবেদন জমা পড়েছিল। আর আবেদনে ব্যবহার করা হয়েছিল একটি কুকুরের ছবি। সেই ঘটনা ভাইরাল হতেই গ্রেপ্তার হয়েছিল সার্কেল অফিসের এক কর্মী।
এমনকি এত পরে নওয়াদায় ‘ডগেশ বাবু’ নামে আরো একটি আবেদন জমা পড়ে, যেখানে বাবা-মায়ের নাম লেখা ছিল ‘ডগেশ কে পাপা’ ও ‘ডগেশ কি মাম্মি’। বর্তমানে ওই ঘটনারও তদন্ত চলছে। আর তারই মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এরকম আবাসিক সনদদের আবেদন সত্যিই গোটা দেশবাসীর টনক নাড়িয়ে দিচ্ছে।