ডাক পান না মোদীর সভায়! বেঙ্গালুরু থেকে ফিরেই নিজের ‘ক্যাপ্টেন’ বেছে নিলেন দিলীপ ঘোষ

dilip ghosh

সহেলি মিত্র, কলকাতা: যত সময় গেছে ততই বঙ্গ বিজেপিতে যেন ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এই নিয়ে টানা তিনবার দিলীপ ঘোষকে দেখা গেল না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায়। তাহলে কি একেবারেই দল থেকে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে বা কোণঠাসা করে ফেলা হচ্ছে রাজ্যের প্রাক্তন বিজেপি সভাপতিকে? হাজারো প্রশ্নের মাঝে ফের একবার বিস্ফোরক বক্তব্য পেশ করলেন দিলীপ ঘোষ। এবার কথা বললেন ‘ক্যাপ্টেন’-কে নিয়ে।

ফের অভিমানী দিলীপ ঘোষ!

আসলে শুক্রবার সন্ধ্যায় দমদম কেন্দ্রীয় জেল মাঠে দলের রাজ্য ইউনিট আয়োজিত এক সমাবেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ৩০ মে আলিপুরদুয়ারে এবং তারপর ১৮ জুলাই দুর্গাপুরে মোদীর সমাবেশের আমন্ত্রণ পাননি দিলীপ ঘোষ। সেদিন সকালেই প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি রবিশঙ্করের সাথে দেখা করতে বেঙ্গালুরু রওনা হন। দিলীপ জানিয়েছিলেন, ”আমি বেঙ্গালুরু যাচ্ছি রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গে দেখা করতে। একটা মিটিং পেন্ডিং ছিল। ওরা চিঠি দিয়ে দেখা করতে বলেছে। কাল ফিরব।”

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, শুক্রবারই কেন? মোদী যখন শহরে আসছেন তখন দিলীপবাবু কেন বেঙ্গালুরু যাচ্ছেন? সেদিন দিলীপের জবাব ছিল, ”আজকেই মিটিংয়ে ডেট। উনি চিঠি দিয়ে কনফার্ম করেছেন। আমার আজ কলকাতায় কোনও কাজ নেই।” অর্থাৎ বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর ভাষণস্থলে তাঁর কোনো জায়গা নেই।

‘ক্যাপ্টেন’ হিসেবে কাকে বাছলেন দিলীপ ঘোষ?

দীর্ঘ মিটিং শেষ শনিবারই কলকাতায় ফিরেছেন দিলীপ ঘোষ। নিউজ ১৮ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘শমীক ভট্টাচার্য আমার ক্যাপ্টেন, যেদিন বলবেন সেদিন পার্টির কাজের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়তে রাজি আছি।’ সামনে রয়েছে ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট। আসন্ন এই ভোটে তাকে কি সক্রিয়ভাবে দেখা যাবে দিলীপ ঘোষকে? দিলীপ ঘোষ জানান, ‘শমীক ভট্টাচার্যের উপর আস্থা আছে। তিনি চাইছেন সকলকে নিয়ে চলতে। যেদিন আমাকে যে দায়িত্ব দেবে, আমার কাজ করতে কোনও আপত্তি নেই। আবার একটা টুল পেতে যদি বলে চুপ করে বসে থাকো, তাহলে তাই বসে থাকব। ভোট এলে ডাকবে, আমি যাব।’

আরও পড়ুনঃ জয়েন্টে শীর্ষ পাঁচের কেউই রইল না বাংলায়! কাউন্সেলিংয়ের আগেই পাড়ি অন্যত্র

দলের জন্য দিলীপের প্রতিদান ভুলে গেলেন সবাই?

বর্তমানে বাংলায় বিজেপি যতটাই অস্তিত্ব আছেই সেটার পিছনে দিলীপ ঘোষের যে অবদান অনেকটাই সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এহেন পরিস্থিতিতেও বর্তমানে বারবার যেন কোণঠাসা অবস্থা হয়ে যাচ্ছে দিলীপ ঘোষের। সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে তাহলে দলের জন্য করা তার প্রতিদান কি ভুলে গেল সবাই? প্রধানমন্ত্রী অবধি প্রতিদান ভুলে গেলেন? দিলীপ ঘোষ জানান, ”প্রধানমন্ত্রী কী বুঝবেন, সেটা প্রধানমন্ত্রীর ওপর ছেড়ে দিন। আমার মতো হাজার হাজার কর্মী পার্টিতে আছেন। পার্টি তাদের নিয়ে ভাবে। যোগ্য মনে করলে তাদের কাজ দেয়। পার্টিতে আমার কোনও কাজ নেই। প্রধানমন্ত্রী আসছেন। ভাষণ দেবেন। সে তো আমি মোবাইলে শুনে নিতে পারি। উনি তো আসতেই থাকবেন। ভাষণ শোনা তো কোনও কাজ নয়। অন্য কাজ যখন পার্টি দেবে, সেই কাজে লেগে যাব।”

Leave a Comment