তাজ্জব গোটা বিশ্ব! প্রথম সমুদ্রের নিচে সবচেয়ে দীর্ঘ ও গভীর রাস্তা তৈরি করছে এই দেশ

World longest and deepest Underwater Road in Norway

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: গোটা বিশ্বকে চমকে দেওয়ার মতো কাজ করছে নরওয়ে। জানা গিয়েছে, ইউরোপের এই দেশটিতে তৈরি হচ্ছে 27 কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সড়ক। তবে মাটির উপরে নয় বরং সাগরের তলদেশে নির্মাণ কাজ চলছে দীর্ঘ এই সড়ক পথের। তবে শুধু দৈর্ঘ্য নয়, গভীরতাতেও তাক লাগাবে এই সড়ক। CNN এর রিপোর্ট অনুযায়ী, সমুদ্রের তলদেশে নির্মীয়মান এই রাস্তাটির (Underwater Road) গভীরতা 1,286 ফুট বা 392 মিটার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে এটিই হবে সমুদ্র তলে থাকা বিশ্বের সবচেয়ে গভীর এবং দীর্ঘ সড়কপথ।

কবে শেষ হবে এই রাস্তা তৈরির কাজ?

রিপোর্ট অনুযায়ী, ইউরোপের দেশ নরওয়েতে সমুদ্রের তলে যে রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে তার নাম দেওয়া হয়েছে রোগফাস্ট। এই রাস্তা তৈরির কাজ প্রথম শুরু হয়েছিল 2018 সালে। তবে পরবর্তীতে এই সড়ক নির্মাণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সেই কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে 2021 সালে আবারও শুরু হয় সড়ক নির্মাণের কাজ। সেই থেকেই জোর কদমে চলছে বিশ্বের প্রথম সমুদ্রের তলদেশে থাকা সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ সড়ক নির্মাণ। আশা করা যাচ্ছে, সব ঠিক থাকলে 2033 সালের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে এই রাস্তা তৈরির কাজ।

একধিক রিপোর্ট ঘেঁটে জানা গেল, নরওয়েতে সমুদ্রের তলদেশে যে রাস্তাটি তৈরি হচ্ছে তা সম্পূর্ণ করতে খরচ হবে, প্রায় 240 কোটি ডলার। এই সড়কের উপরের অংশ তৈরির দায়িত্ব বহুজাতিক সংস্থা স্কানাস্ক এর কাঁধে। এই সড়ক প্রসঙ্গে প্রকল্পটির পরিচালক অ্যান ব্রিট মোয়েন জানিয়েছেন, এই রাস্তাটি একবার তৈরি হয়ে গেলে নরওয়ের পশ্চিম উপকূলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রের তলদেশে এই দীর্ঘ এবং গভীর সড়ক পথটি হাত ধরে স্ট্যাভানগার এবং ভার্জিন শহরের যাতায়াতের জন্য আর ফেরির দরকার পড়বে না। খুব সহজেই এই পথ ধরে একে অপরের শহরে আসতে পারবেন সাধারণ মানুষ। গভীর হবে দুই শহরের সম্পর্কও। সেই সাথে সম দূরত্ব অতিক্রম করতে সময়ও লাগবে কম।

অবশ্যই পড়ুন: মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে বড় সিদ্ধান্ত পর্ষদের, পড়ুয়া পিছু দিতে হবে ৫০০০ টাকা ফাইন!

প্রসঙ্গত, বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সমুদ্রের তলদেশে সবচেয়ে গভীর এবং সবচেয়ে দীর্ঘ সড়ক পথ নির্মাণের কাজ নরওয়েতে শুরু হলেও এই প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে বেশ কিছু সমস্যার সাথে ঝুঁজতে হবে প্রকল্পটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের। রিপোর্ট অনুযায়ী, যেসব প্রকৌশলীরা সমুদ্রের নিচে সুরঙ্গ কাটার কাজ করেছেন তারা বলছেন, সুরঙ্গ তৈরির সময় বিভিন্ন ছিদ্র থেকে জল প্রবেশ করেছে নানা জায়গায়। তাছাড়াও 392 মিটার গভীরতায় এই সড়ক তৈরির কারণে অনেক ক্ষেত্রেই অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিশেষ ধরনের বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা তৈরি করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে হাজারো প্রতিকূলতাকে পেরিয়ে সমুদ্রের তলদেশে সড়ক নির্মাণের পন করেছে নরওয়ে।

Leave a Comment