সহেলি মিত্র, কলকাতাঃ আপনিও কি শীঘ্রই তারাপীঠের মন্দিরে (Tarapith Temple) যাওয়ার প্ল্যান করছেন? সেবাইতের সঙ্গে আগে থেকে কথা বলে মন্দিরে দ্রুত প্রবেশের ব্যাপারটা ঠিক করে রেখেছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল অত্যন্ত জরুরি খবর। আসলে প্রশাসনের তরফে এই বিশ্ববিখ্যাত মন্দিরে প্রবেশাধিকারের বিষয়ে কড়া নিয়ম বেঁধে দিল। সেইসঙ্গে এখন অতিরিক্ত টাকা দিয়েও গর্ভগৃহে ঢুকে মায়ের দর্শন করা যাবে না। হ্যাঁ একদম ঠিক শুনেছেন। এরকমই নানা নিয়ম বেঁধে দিয়েছেন মহকুমা শাসক। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
তারাপীঠের মন্দির নিয়ে একগুচ্ছ নিয়ম বেঁধে দিল প্রশাসন
যত সময় এগোচ্ছে ততই তারাপীঠের মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড় উপচে পড়ছে। সেইসঙ্গে শুরু হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলা। বিগত বেশ কিছু সময় ধরে মন্দিরে পুজো দিতে আসা পুণ্যার্থীরা অভিযোগ করছিলেন যে তাঁরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ভালো মতো না মায়ের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না পুজো দিতে পারছেন। অন্যদিকে কিছু মানুষ বেশ টাকা দেওয়ার ফলে মন্দিরের সেবাইতরা তাঁদের কম সময়ের মধ্যে দিয়ে মন্দির দর্শন করিয়ে দিচ্ছেন। এরকম পরিস্থিতি মোটেই কাম্য নয়। এখানে যে ‘টাকার খেলা’ হচ্ছে সেটা বলাই বাহুল্য। এহেন পরিস্থিতিতে এবার রামপুরহাট মহকুমা শাসক রাঠোর অশ্বিনী বাবুসিংহ কঠোর পদক্ষেপ নিলেন।
আরও পড়ুনঃ ৪টি ব্যাঙ্কের অস্তিত্ব হারানোর প্রশ্নে জবাব দিল কেন্দ্র সরকার
তিনি সম্প্রতি তারাপীঠ মন্দিরের সেবাইতদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে নতুন মহকুমা শাসক জানালেন আগের জেলা শাসকের নির্দেশকে কঠোর ভাবে পালন করতে হবে। এখানে জানিয়ে রাখি, দীর্ঘদিন ধরে মন্দিরে চলমান অব্যবস্থা দুর করতে পূর্বতন জেলা শাসক বিধান রায় চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে কিছু নিয়মকানুন বেঁধে দেন। সেই নিয়মে প্রথম এক ঘণ্টা সাধারণ লাইনের পুন্যার্থীরা প্রবেশের সুযোগ পাবেন। বিশেষ লাইনের জন্য নির্দিষ্ট কুপন নেওয়া বাধ্যতামূলক।
গর্ভগৃহে প্রবেশ নিষিদ্ধ
নয়া নিয়ম অনুযায়ী, গর্ভগৃহে প্রবেশের পর বেরোনোর পথে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া যাবে না। স্থানীয় বীরভূম জেলার পুন্যার্থীরা প্রমাণপত্র দেখিয়ে পাবেন বিনামূল্যে ঢোকার বিশেষ পাশ। প্রশাসনের চাপে পরে মন্দির কমিটি ফের গর্ভগৃহে অঞ্জলি বা শৃঙ্গার পুজো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গর্ভগৃহের বাইরে থেকেই মা তারার চরণে অর্পণ করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা। মহকুমা শাসক জানিয়ে দিয়েছেন প্রতি মাসে মন্দিরের শৃঙ্খলা নিয়ে রিভিউ মিটিং হবে। প্রতি মাসের ১ তারিখ মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসে নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে।