তিনজন মিলে গণধর্ষণ! দুর্গাপুর কাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ পুলিশের

Durgapur

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সময় যত এগোচ্ছে দুর্গাপুর (Durgapur) ধর্ষণ কাণ্ডে একের পর এক নয়া তথ্য উঠে আসছে। কয়েক দিন আগেই জেলে গিয়ে টিআই প্যারেডে অংশ নিয়েছিলেন নির্যাতিতা ছাত্রী। শনাক্ত করেছিলেন ধৃত পাঁচ অভিযুক্তকে। তাঁদের মধ্যে এক জনকে মূল অভিযুক্ত বলেও চিহ্নিত করেছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় দুর্গাপুর ধর্ষণকাণ্ডে ২০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা করল পুলিশ। আজ দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে পুলিশ।

ফিরদৌসকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত নির্যাতিতার

তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ দুর্গাপুরে চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ করার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছিল। এদিকে প্রথম থেকেই নির্যাতিতার সহপাঠীকে নজরে রাখছিল পুলিশ। এরপর তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা চলছিল। পরে জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনায় সেও যুক্ত রয়েছে। তারপরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ধৃতদের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর আদালতের নির্দেশ মেনে টিআই প্যারেডে অভিযুক্তদের নির্যাতিতার সামনে নিয়ে আসা হয়, সেখানেই অভিযুক্ত ফিরদৌসকে ধর্ষক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন নির্যাতিতা। বাকিরাও সঙ্গে ছিল বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। তবে ধর্ষণের সঙ্গে কি সহপাঠী সরাসরি যুক্ত রয়েছে কিনা তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। আর সেই উত্তর এবার মিলতে চলেছে চার্জশিটে।

২০ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

রিপোর্ট অনুযায়ী, আজ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, ডাক্তারি ছাত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে চার্জশিট পেশ করল পুলিশ। ঘটনার ২০ দিনের মাথায় এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হল। আদালত সূত্রের খবর, নির্যাতিতার ওই সহপাঠীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অন্য তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ এবং বাকি দু’জনের বিরুদ্ধে জোর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে চার্জশিটে। এবার সেই মামলায় দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানা গিয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার পাঁচ দিনের জেল হেফাজত শেষে ফের ধৃতদের দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।

আরও পড়ুন: ফের মহিলা জুনিয়র ডাক্তারকে হেনস্থা মত্ত রোগীর! চরম বিক্ষোভ কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে

দুর্গাপুরের ধর্ষণ কাণ্ড মামলায় বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় এদিন চার্জশিট গঠন প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘দ্রুত গতিতে তদন্ত চালিয়ে চার্জশিট গঠন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আমরা আদালতে চার্জশিট জমা করলাম। এটা আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে অনেক বড় সাফল্য। আমরা আশাবাদী, দু’মাসের মধ্যে ট্রায়াল শেষ হয়ে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।’’ তবে চার্জশিট এর ভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে এই ধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনই সরাসরি যুক্ত।

Leave a Comment