‘তিন দেশের মধ্যে সম্পর্ক …!’ পুতিনের ভারত সফর ঘিরে উচ্ছ্বসিত চিনের বড় বয়ান

China on Putin India Visit

সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারত সফরের জন্য এবার স্বাগত জানাল ড্রাগনের দেশ (China on Putin India Visit)। বেইজিংয়ের মতে, ভারত, চিন এবং রাশিয়া দক্ষিণ বিশ্বের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। আর তিন দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক যদি মজবুত হয়, তাহলে শুধুমাত্র আঞ্চলিক দিক থেকে নয়, বরং বৈশ্বিক শান্তি আর স্থিতিশীলতাও রক্ষা হবে।

কী বলল চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়?

এদিন চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, চিন, রাশিয়া এবং ভারত উদীয়মান অর্থনীতি আর দক্ষিণ বিশ্বের উল্লেখযোগ্য সদস্য। তিন দেশের সুসম্পর্ক শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ নয়, বরং আঞ্চলিক আর বৈশ্বিক শান্তি, নিরাপত্তা এবং উন্নয়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। পুতিনের এই ভারত সফর চিনকে নিবিড় ভাবেই পর্যবেক্ষণ করেছে এবং মস্কো-বেইজিংয়ের সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবেই ঘনিষ্ঠ।

এদিকে পুতিন সফরের আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারত এবং চিন আমার সবথেকে নিকটতম বন্ধু। আমরা এই সম্পর্ককে গভীরভাবেই শ্রদ্ধা করি। আর এই মন্তব্য চিনের রাষ্ট্রীয় মাধ্যমেও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছিল। চিনের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, তারা ভারত এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত।

উত্তেজনার পর সম্পর্ক স্বাভাবিকের পথে

বলাবাহুল্য, লাদাখ সীমান্তে সংঘর্ষের পর ২০২০ সাল থেকে ভারত আর চিনের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে ঠেকেছে। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দিকে এগোচ্ছে। চিনের মুখপাত্র বলেছেন, চিন দীর্ঘমেয়াদী দৃষ্টিভঙ্গির দিক থেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক দৃঢ় করতে চাইছে। সহযোগিতা বাড়লে দুই দেশের জনগণ আরও উপকৃত হবে এবং এশিয়া সহ বৈশ্বিক শান্তিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। পুতিনও এই সাক্ষাৎকারে আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভারত এবং চিন নিজেরাই সমস্যার সমাধান খুঁজে নিতে পারবে। এতে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের কোনও দরকার নেই।

আরও পড়ুন: চড়া শুল্ক সত্ত্বেও আমেরিকাতে কীভাবে চাল বিক্রি করছে ভারত? সুর চড়ালেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

উল্লেখ্য, ৪ এবং ৫ ডিসেম্বর ভারত সফরে বহু দ্বীপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন পুতিন এবং নরেন্দ্র মোদী। দুই দেশ মিলিতভাবেই অর্থনৈতিক সহযোগিতার কর্মসূচি তৈরি করেছে। তার মধ্যে মূল লক্ষ্য হল ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নিয়ে যাওয়া এবং অর্থনীতি, জ্বালানি ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তিতে আরও সমন্বয় বৃদ্ধি করা।

Leave a Comment