কৃশানু ঘোষ, কলকাতা: সম্প্রতি উদ্বোধন করা হয়েছে কলকাতা মেট্রোর একাধিক নতুন লাইন। কিন্তু, মেট্রো নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ আর অভিযোগ যেন থামার নামই নিচ্ছে না। এবার সম্প্রতি কলকাতা মেট্রোর অরেঞ্জ লাইনের সবচেয়ে বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬৬ মিটার রাস্তা। আর সেই জট কাটাতে আসরে নামতে হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।
কী অভিযোগ?
কলকাতার চিংড়িঘাটার রাস্তা অত্যন্ত ব্যস্ততম একটি রাস্তা, আর এই রাস্তার জন্য দীর্ঘ দিন ধরেই থমকে রয়েছে নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত মেট্রোর অরেঞ্জ লাইন চালুর কাজ। এই নিয়ে রেল বিকাশ নিগমের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ তোলা হলেও সুরাহা হয়নি কিছুই।
RVNL-এর অভিযোগ, চিংড়িঘাটার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য রাজ্যের তরফ থেকে এখনও নো-অবজেকশন পাওয়া যায়নি, আর রাজ্য দায়িত্ব না নিলে সেই কাজ করা যাচ্ছে না। আগেই এই বিষয়ে রাজ্যের তরফ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল বিচারপতি সুজয় পাল ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে। সম্প্রতি এই নিয়ে দায়ের হওয়া মামলায় রিপোর্ট জমা দেয় রাজ্য।
আরও পড়ুনঃ ভারতের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ছড়ানো মালিক কাঞ্জিকে অপহরণ করে খুন? নর্দমায় উদ্ধার দেহ
রাজ্য অনড় নিজের দাবিতে!
রাজ্যের জমা দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্য সরকার যুক্তি দিয়েছে নিউ গড়িয়া-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ লাইনের অন্তর্গত গৌর কিশোর ঘোষ স্টেশন চালু হলে যানচলাচল আরও বাড়বে, তাই সেখানে একটি আন্ডারপাস অত্যন্ত জরুরি। শুধু তা-ই নয়, ওই আন্ডারপাস নির্মাণের দায়িত্ব নিতে হবে মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই। সেই আন্ডারপাস হলেই রাজ্যের তরফ থেকে NOC দেওয়া হবে।
কী বলছে RVNL?
তার প্রেক্ষিতেই মেট্রো কর্তৃপক্ষকের কাছে তাদের বক্তব্য জানতে চায় কলকাতা হাই কোর্ট। যার পর আরভিএনএল-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “দুই সপ্তাহ প্রতিদিন টানা ১২ঘণ্টা করে কাজ করলে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। পাশাপাশি যতক্ষণ পর্যন্ত গৌর কিশোর ঘোষ স্টেশন চালু না হচ্ছে, তার আগে আন্ডারপাসের কাজ শুরু হতে পারে না।
হাইকোর্টের নির্দেশ
দ্য টেলিগ্র্যাফের রিপোর্ট অনুযায়ী, সবকিছু শোনার পর, ৩ সেপ্টেম্বর, হাইকোর্টের বিচারপতি সুজয় পাল ও স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চ জট কাটাতে মেট্রো, রাজ্য, আরভিএনএল, কেএমডিএ এবং পুলিশকে একসাথে বৈঠকে বসার নির্দেশ দিয়েছে। এমনকি কবে আলোচনা বসবে, সেই তারিখও ৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোর্টে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।