তৃতীয় T20-তে আফ্রিকার জয়ের স্বপ্নকে দুঃস্বপ্ন বানিয়ে সিরিজে চালকের আসনে ভারত

বিক্রম ব্যানার্জী, কলকাতা: দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির (India Vs South Africa) শেষটা যেখান থেকে হয়েছিল, রবিবার যেন সেখান থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভাঙার কাজটা শুরু করে ভারত। নতুন করে যাতে পরাজয় যন্ত্রণায় ভুগতে না হয় সেই মতোই একেবারে আঁটঘাট বেঁধে নেমেছিল সূর্যকুমার যাদবের দল। আর ভারতের সেই অতিরিক্ত প্রস্তুতিই একেবারে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। রবির রাতে কার্যত ঝড়ের গতিতে প্রোটিয়াদের 10 উইকেট ধসিয়ে সহজ লক্ষ্য ছুঁয়ে ক্রিকেট কাকে বলে বুঝিয়ে দিল ভারত। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি শেষে সিরিজের ফলাফল ভারত দুই, দক্ষিণ আফ্রিকা এক।

ভারতের ক্রমাগত আক্রমণের সামনে মাথা ঝোঁকালো দক্ষিণ আফ্রিকা

রবিবার, ম্যাচের শুরুটা হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার টস জয় দিয়ে। এদিন ভাগ্যের পরীক্ষায় জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। সেই সূত্রেই, ব্যাট হাতে ভারতের উদ্দেশ্যে রানের পাহাড় গড়ার স্বপ্ন দেখেছিল প্রোটিয়ারা। তবে আজ দক্ষিণ আফ্রিকার সেই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত করে ভারতের বোলিং বিভাগ। এদিন বল হাতে একেবারে রুদ্র মূর্তি ধরেছিলেন টিম ইন্ডিয়ার কুলদীপ যাদব, বরুণ চক্রবর্তী, অর্শদীপ সিংরা। আর সেখানেই আটকে গেল প্রতিপক্ষ।

ম্যাচের একেবারে শুরু থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেট ফেলে এইডেন মার্করামের দলকে বোতল বন্দি করার চেষ্টা করে গিয়েছে টিম ইন্ডিয়া বোলাররা। তাতে প্রতিপক্ষের অধিনায়ক ছাড়া বাকি কাউকেই কার্যত ব্যাট তুলতে দেয়নি ভারত। এদিন একতরফা আক্রমণ শানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের শুধু শাসিয়েছে টিম ইন্ডিয়ার বোলিং বিভাগ। আর সেই সূত্রেই, এদিন অধিনায়ক এইডেন মার্করামের 61 রানের ইনিংস ছাড়া কেউই 20 রানের গন্ডি টপকাতে পারেননি। যারা ম্যাচ দেখেছেন তারা জানবেন, ভারতের রুদ্ধশ্বাস বোলিংয়ের সামনে ব্যাট করতে গিয়ে একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছিলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা।

অবশ্যই পড়ুন: বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি হলেন বিহারের মন্ত্রী, কে এই নীতিন নবীন?

আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই নির্ধারিত 20 ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার 10 উইকেট গুঁড়িয়ে দেয় ভারত। ওদিকে রান বলতে মাত্র 117 সংখ্যাই বোর্ডে তুলতে পেরেছিল প্রোটিয়া দল। তাতে কাজটা অনেকটাই সহজ হয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার। এদিন রান তাড়া করতে নেমে বন্ধু শুভমনের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বড় দৌড় দিয়েছিলেন অভিষেক শর্মা। তবে একটা সময় 35 রানের পরই উইকেট হারায় তাঁর। তবে সবচেয়ে মজার বিষয়, 6 ওভারের মধ্যেই 1 উইকেট খুইয়ে 60 রান তুলে ফেলে ভারত। পরে তিলক বর্মার সাথে জুটি বেঁধে অনেকটাই এগিয়েছিলেন গিল। তবে আচমকা উড়ে আসা বলে উইকেট যায় তাঁরও।

28 করে ফেরেন টেস্ট দলের অধিনায়ক। বাধ্য হয়ে ব্যাট করতে এসে এদিনও ব্যর্থ হলেন অধিনায়ক সূর্যকুমার। তাতে অবশ্য সমস্যা হয়নি ভারতের। একেবারে চাপলেশহীন ভাবেই নির্দিষ্ট সময়ের আগেই 7 উইকেট হাতে রেখে নির্ধারিত লক্ষ্য পূরণ করে প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকার মুখে একপ্রকার লজ্জার কালি ঘষে দিলেন গত ম্যাচের নায়ক তিলক বর্মা। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার কফিনে শেষ পেরেক পুঁততে তাঁকে সঙ্গ দিলেন দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির ব্যর্থ দুবে। কথায় আছে, শুরুটা দেখলে বোঝা যায় শেষটা কেমন হবে। এদিন ভারতের ক্ষেত্রেও এই প্রচলিত বাংলা বাক্য একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মিলে গেল।

Leave a Comment