প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: দীর্ঘ টালবাহানা করেও সুপ্রিম নির্দেশের পরে শেষ পর্যন্ত তথাকথিত ‘টেন্টেড’ বা ‘দাগি’ প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। যা নিয়ে রীতিমত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি রাজ্য জুড়ে। এমতাবস্থায় ফের দাগি এবং অযোগ্যদের বেতন প্রসঙ্গ উঠল। আর তাতে ঢিলেমি মনোভাব দেখায় এবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court Of India) তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য।
দাগিদের বেতন নিয়ে প্রশ্ন
কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট উভয়েই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল যে যাঁরা অযোগ্য অর্থাৎ ‘টেন্টেড’ চাকরিপ্রাপক, তাঁদেরকে বেতন ফেরাতে হবে। আর সেই নির্দেশ মেনে কী ভাবে টাকা ফেরানো হবে, তা নিয়ে এখনও আইনি পরামর্শ নিয়ে চলেছেন এসএসসি–র কর্তারা। গত সপ্তাহে কমিশন যে ১৮০৬ জন ‘দাগি’র তালিকা প্রকাশ করেছিল, অর্থাৎ যাঁরা কোনও না কোনও ভাবে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের অ্যাপয়েন্টমেন্ট ক্যান্সেল করার প্রাথমিক প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। কিন্তু টাকা ফেরৎ নেওয়ার নির্দেশ নিয়ে অনেকটাই সময় নষ্ট করছে SSC। তাই এবার সেই ইস্যুতেই সুপ্রিম কোর্টে ভৎর্সনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার।
রাজ্যের উপর ক্ষোভ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের
টিভি ৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও অযোগ্য অর্থাৎ ‘টেন্টেড’ চাকরিপ্রাপকদের থেকে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় বেশ বিরক্ত হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আজ অর্থাৎ শুক্রবার, সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি অলোক আরাধির ডিভিশন বেঞ্চে এসএসসি মামলা উঠলে রাজ্যের আইনজীবীর উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক। প্রশ্ন তোলেন কেন এখনও পর্যন্ত দাগিদের থেকে টাকা ফেরত নেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে রাজ্য জানিয়েছে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরুই হয়নি, এখনও আইনি সাহায্য চলছে। তাই শীঘ্রই কখন কীভাবে টাকা ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হবে তা জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে।
আরও পড়ুন: ভরদুপুরে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে রক্তারক্তি কান্ড! ছুরি দিয়ে বন্ধুকে কোপ পড়ুয়ার
প্রসঙ্গত, গত রবিবার অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর SSC-র নবম-দশমের পরীক্ষা হয়েছিল। শেষবার ২০১৬ সালে এই পরীক্ষা হয়েছিল এবং তারপর সেই পরীক্ষা ঘিরে নানাবিধ আইনি জট কাটিয়ে সারা রাজ্য জুড়ে চলছে পরীক্ষা। আগামী রবিবার অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর রয়েছে একাদশ দ্বাদশের পরীক্ষা। এই পরীক্ষাতেও দাগি-যোগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভৎর্সনার মুখে পড়েছিল রাজ্য সরকার। এবার পালা বেতনের।