সৌভিক মুখার্জী, কলকাতা: আসন্ন দুর্গাপুজোকে ঘিরে অশান্তির আশঙ্কা নিয়ে মুখ খুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। তিনি জানিয়েছেন, ধুবড়ি জেলায় রাতের বেলা যে শুট অ্যাট সাইট নির্দেশিকা কার্যকর রয়েছে, তা দুর্গাপুজো চলাকালীনও জারি থাকবে।
হ্যাঁ, মঙ্গলবার অর্থাৎ 26 আগস্ট কোকারাঝাড়ে এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ধুবড়িতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সংখ্যালঘু। তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের প্রধান কাজ। তাই শুট অ্যাট সাইট নির্দেশ প্রত্যাহার করা হচ্ছে না, বরং পুজোর সময়ও তা কার্যকর থাকবে।
কেন এরকম পদক্ষেপ?
উল্লেখ্য, গত 13 জুন ধুবড়িতে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের জেরে রাতের বেলা শুট অ্যাট সাইট নির্দেশিকা জারি করেছিল অসম সরকার। মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি অভিযোগ করেছিল যে, বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এই জেলায় একটি বিশেষ গোষ্ঠী অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে, যা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যাচ্ছে না।
এরপর থেকেই একাধিকবার ধুবড়ি সফরে গিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ইতিমধ্যেই 150 জনের বেশি দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এমনকি তাঁদের মধ্যে 11 জন অসমের নাগরিক নয়। এদের অনেকের বিরুদ্ধেই আগে থেকে মামলা ছিল।
🚨 BIG BREAKING
Assam CM orders that the “SHOOT AT SIGHT” directive in Dhubri will remain in force till Durga Puja.
“Sanatan Dharma followers are a MINORITY here, and protecting them from extremists is our TOP priority.” pic.twitter.com/2ZYtoUZVs2
— Megh Updates 🚨™ (@MeghUpdates) August 26, 2025
প্রসঙ্গত, ঈদের পর ধুবড়ি শহরের হনুমান মন্দিরের সামনে গরুর খুলি পাওয়া যায়। আর সেই ঘটনার পর হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা একসঙ্গে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানায়। তবে পরের দিন আবার একই মন্দিরের কাছে ফেলা হয় গরুর মাথা। পাশাপাশি শহরের একাধিক জায়গাতেও পাথর ছোঁড়ার মতো ঘটনা ঘটে।
এমনকি এর আগে 28 জুন মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিল যে, অবৈধভাবে গরু জবাই করে তার মাংস রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ফেলে দিয়ে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করছে ভিন সম্প্রদায়ের মানুষজন।
দুর্গাপূজার আগে বড়সড় বার্তা
জানিয়ে রাখি, এ বছর অসমে দুর্গাপুজো চলবে 28 সেপ্টেম্বর থেকে 2 অক্টোবর পর্যন্ত। তার আগে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্ট করে দিলেন যে, রাজ্য সরকার যেকোনো মূল্যে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ধুবড়ি থেকে কেউ যদি অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করে, তাহলে তাঁকে কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এমনকি দুষ্কৃতীদের দেখামাত্রই গুলি করা হবে।