দাম ১৫০ পার! বাধ্য হয়ে ফের ভারতের পেঁয়াজ কেনা শুরু করল বাংলাদেশ

Bangladesh Onion Price

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ভয়ংকর অবস্থা বাংলাদেশে! পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির (Bangladesh Onion Price) ঝাঁঝে রীতিমত কাদো কাদো অবস্থা ওপার বাংলার মানুষদের। জানা গিয়েছে, গত এক সপ্তাহ থেকে হিলি স্থলবন্দর ও আশপাশের উপজেলার বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি শুকনো পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর পেয়াজকলি প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমতাবস্থায় হঠাৎ পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধির জেরে ভারতের শরণাপন্ন হল বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রণালয়।

পেঁয়াজ নিয়ে আতঙ্কিত বাংলাদেশ

উল্লেখ্য, গত বছর বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ও ইউনূস সরকার গঠনের পর থেকেই শুরু হয়েছে একের পর এক অস্বস্তিকর পরিবেশ। এমনকি ভারতের সঙ্গেও সম্পর্ক ধীরে ধীরে তিক্ত হয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়েছে আন্তর্জাতিক ব্যবসার ক্ষেত্রেও। তার মধ্যে অন্যতম হল পেয়াঁজ। বিগত এক সপ্তাহে আচমকাই পেঁয়াজের দাম লাগামছাড়া ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ওপার বাংলায়। ভারতে যেখানে পেঁয়াজের দাম ২৮ থেকে ৩০ টাকা প্রতি কেজি, সেখানেই বাংলাদেশের বাজারে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম ১৫০ টাকা। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের ৫০ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে পেঁয়াজ কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে এই ৫০ জনকে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ এর ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানি করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বাছাই করা হয়েছে ৫০ জন আমদানিকারককে

বাংলাদেশের এক জনপ্রিয় প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ সরকার কেজি প্রতি ১৫০ টাকা দাম ছাড়াতেই কৃষি মন্ত্রক পেঁয়াজের আমদানি করা নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। সুযোগ বুঝে অসংখ্য সংস্থা ভারত থেকে পেঁয়াজ কেনার জন্য প্রস্তাব পাঠায়। সর্বমোট ৩৫০০টি আবেদন জমা পড়েছে সরকারের কাছে। আর এই আবেদনের ভিত্তিতে তাই এবার সেখান থেকে বাছাই করে ৫০ জন আমদানিকারককে ভারত থেকে পেঁয়াজ কেনার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আপাতত ১৫০০ টন পেঁয়াজ কেনার অনুমতি দিয়েছে সে দেশের কৃষি মন্ত্রক। এদিকে আপাতত ভারত থেকে ১২ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনছে বাংলাদেশ। ট্যাক্স মিলিয়ে তা প্রতি কেজিতে ১৮ টাকা দাম পড়ছে। ইতিমধ্যেই হিলি সীমান্ত দিয়ে ৩০ টন পেঁয়াজ নিয়ে একটি ট্রাক বাংলাদেশে ঢুকেছে। ফলে বাংলাদেশে এবার পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: হুমায়ুনের বাড়িতে টাকার পাহাড়, ট্রাঙ্কে করে এল বাবরি মসজিদের জন্য দান

প্রসঙ্গত, গত বছর মহম্মদ ইউনূস সরকার গঠনের পরই ভারতের সঙ্গে এক বিরোধিতা তৈরি হয়েছিল। সেই সময় বাংলাদেশ জানিয়েছিল যে, তারা ভারতের উপরে নির্ভরশীলতা কমিয়ে, চাল, আলু-পেঁয়াজ সহ একাধিক নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানির জন্য বিকল্প দেশ বেছে নেবে। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান, চিন, মায়ানমার, তুরস্ক, মিশরের নাম উঠে এসেছিল। কিন্তু অন্য কোনও দেশ থেকে বাংলাদেশের কোনো দ্রব্য আমদানি করতে যা খরচ পোহাতে হচ্ছিল, তা ভারতের থেকে আমদানি খরচের থেকে প্রায় দ্বিগুণ-তিনগুণ ছিল। তাই কোনো উপায় না পেয়ে শেষে ফের ভারতের দ্বারস্থ হতে হল বাংলাদেশকে।

Leave a Comment